সিলেট ১৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৯শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:৫৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০১৭
বিশেষ প্রতিবেদন :: সংঘবদ্ধ অপরাধীদের নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে সিলেটের দক্ষিন সুরমা। এখানে এমন কোনো অপরাধ যে সংঘটিত হচ্ছে না, কেউ বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে না। অসাধু পুলিশের শেল্টারে এখানে দিন-দুপুরে বিভিন্ন অনৈতিক অপরাধ কার্যক্রম পরিচালিত হলেও আজো তার কোনো সুরাহ হয়নি।
অভিযোগ উঠেছে, দক্ষিন সুরমা থানা এইসব অবৈধ কার্যক্রম থেকে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকা উত্তোলন করে বলে এই এলাকায় অপরাধ কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দক্ষিন সুরমায় অবস্থিতি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও পুরাতন রেল ষ্টেশন এলাকাসহ প্রভৃতি অঞ্চল বিভিন্ন অপরাধীদের আস্তানা। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জুয়াড়ী, ছিনতাইকারী, প্রতারক চক্র, সাংবাদিক নামধারী লোক, মাদকাশক্ত এবং হোটেলগুলোতে দেহ প্রসারিনিদের অবাধ অবস্থান এখানে।
প্রতিদিন সন্ধ্যার পর সংঘবদ্ধ অপরাধীদের মাধ্যমে দক্ষিন সুরমার প্রত্যন্ত অঞ্চল গাঁজা, মদ, ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক দ্রব্যে সহজ লভ্য হয়ে ওঠে। সেখানে বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মাদকাশক্তদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। সংঘবদ্ধ জুয়াড়ী চক্রের আড্ডা বসে সেখানে প্রতিরাতে। তাদের অপতৎপরতার কারণে বিভিন্ন স্থান থেকে আগত সহজ-সরল বাস যাত্রীরা প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন।
বাস টার্মিনাল এলাকায় সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে সব কিছু হাঁতিয়ে নিয়ে সর্বশান্ত করার ঘটনা এখানে অহরহ ঘটছে। দক্ষিন সুরমার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের গাড়ির মালিক এবং বাস ড্রাইভাররা স্থানীয় সন্ত্রাসী চক্রের কাছে এশরকম জিম্মি।
এব্যাপারে বিভিন্ন বাস ড্রাইভারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি মাসে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের একটি নির্দিষ্ট অংকের চাঁদা দিতে হয় তাদেরকে। সন্ত্রাসী এবং চাঁদাবাজদের সাথে প্রশাসন ও রাজনৈতিক মদতপুষ্ট ক্যাডারদের সু-সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গেছে। এদেরই একটি সংঘবদ্ধ দল প্রতিদিন সন্ধ্যার পর হতে সারারাত পর্যন্ত দক্ষিন সুরমার বাস টার্মিনালসহ বেশ ক’টি স্থানে জুয়ার আসর বসায়। ভারতীয় তীর খেলাতো দিন-দুপুরেই প্রকাশ্যে চলছে। তার পাশাপাশি মদকাশক্তরা রাতভর মেতে উঠে জমজমাট আড্ডায়।
সেই সুযোগে অসাধু মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের অবাধ মাদক ব্যবসাসহ অনৈতিক বিভিন্ন কার্যক্রম অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে। এখানে প্রায় প্রতিদিন ছিনতাইয়ের শিকার হন সাধারণ মানুষ এবং সহজ-সরল সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলে ভূক্তভোগী এবং প্রতক্ষদর্শীদের সাথে আলাপকালে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সাম্প্রতিককালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় মন্ত্রী শ্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত নতুন মন্ত্রী সভায় অধিষ্টিত হওয়ার পর পরই সিলেটে আসলে দক্ষিন সুরমার বিভিন্ন অপরাধ কর্ম বন্ধে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও সিভিল প্রশাসনকে নির্দেশ প্রদান করেন। মন্ত্রীর নির্দেশ কিছুদিন বাস্তবায়ন হলেও পরবর্তীতে আবারো সেই, যেই সেই ঘটনার পুনারাবৃত্তি ঘটে দক্ষিন সুরমায়। অর্থাৎ স্থানীয় প্রশাসনের কাছে মন্ত্রীর নির্দেশ ভেস্তে গেছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd