সিলেট ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৪ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:১৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২০, ২০১৭
সিলেটের কোম্ পানীগঞ্জে হাজী শামীম আহমদ সহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও পাথর ব্যবসায়ীদের উপর মামলা প্রত্যাহার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন আওয়ামী লীগ সহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
স্মারকলিপিতে তারা তিন দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হচ্ছে- হাজী শামীম আহমদ সহ ২২ জনের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে আতাঁতকারী ইউএনওকে কোম্পানীগঞ্জ থেকে অভিলম্বে প্রত্যাহার, ব্যবসায়ীদের উপর বিভিন্ন সময় প্রশাসনের দায়ের করা মামলা সুষ্টু তদন্তের মাধ্যমে প্রত্যাহার।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. রাহাত আনোয়ার নিজেই স্মারকলিপি গ্রহন করেন। স্মারলিপিতে আওয়ামী লীগ ও পাথর ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ জানান- সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড চলার সময় দেশবিরোধী চক্রের চক্রান্তের কারনে প্রতিবেশী দেশগুলো রহস্যজনকভাবে পাথর রপ্তানী বন্ধ করে দিয়েছিলো। কিন্তু আমাদের দেশের সম্পদ সিলেটের পাথরকে ব্যবহার করে তখন আমরা উন্নয়ন কর্মকান্ডের গতি স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করেছি। সম্প্রতি সময়ে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের আওয়ামী লীগ সহ গণ্যমান্য ২২জন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে গত ৭ই নভেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পরিবেশ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলার পর কোম্পানীগঞ্জে স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে মানুষ চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে কোম্পানীগঞ্জ পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী শামীম আহমদ, তার রোগাক্রান্ত ভাই বিলাল আহমদ সহ ২২ জনকে।
কোম্পানীগঞ্জের প্রশাসনের সাজানো এই মামলার পেছনে কোম্পানীগঞ্জের বিএনপি ও জামায়াতের পাথরখেকো এক শ্রেনীর দুষ্টু লোকের হাত রয়েছে বলে মানুষ মনে করে। এ কারনে তারা প্রতিবাদে সোচ্ছার হয়েছিলেন। ওই মামলায় ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানীকারক গ্রুপের কয়েকজন ব্যবসায়ীকেও পরিকল্পিতভাবে আসামি করা হয়েছে। স্মারকলিপিতে তারা বলেন- স্থানীয় ইউএনও বিএনপি ও জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করা হয়। এর প্রেক্ষিতে আগামী জাতীয় ও উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে মামলার পর মামলা দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিবৃত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। যা শুধু নিন্দনীয়ই নয়, পীড়াদায়কও। স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতা কামনা করেন। একই সঙ্গে তারা মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান।
দুপুরে কোম্পানীগঞ্জের রাজনৈতিক, ব্যবাসায়ী ও সামাজিক সংগঠনের শতাধিক নেতৃবৃন্দ মিছিল সহকারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে প্রথমে অবস্থান নেন। এ সময় তারা আওয়ামীলীগ নেতা শামীম আহমদের উপর দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্যে বিভিন্ন রকমের শ্লোগান দেন। জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার তাদের মূখ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনৈতিক কর্মকান্ড ও নানা অনিয়মের কাহিনী শুনে তিনি উপস্থিত নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্থ করে বলেন, বিষয়টি অতি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে। যাতে করে কোন নিরপরাধ মানুষ হয়রানীর শিকার না হন। মামলার ব্যাপারে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক পর্যায়ে তিনি নিচে এসে মানববন্ধনে অংশ গ্রহণকারী রাজনৈতিক, ব্যবাসায়ী ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীকে শান্তনা দিয়ে বলেন, অযথা কাউকে হয়রানী করা হবে না।
স্মারকলিপি প্রদানকালে ও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা শ্রমিকলীগের শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, সাধারন সম্পাদক নুরুল ইসলাম, পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মুল্লুক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান, উত্তর রনিখাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ কালা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ ধন সিনহা, ইছাকলস ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আশিক মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আছার মিয়া, তেলিখাল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক হাজী মোঃ আলা উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রহমান, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য এম সোহেল আহমদ, আনছার আলী, জামান আহমদ জামাল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান রানা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, মাহমুদ হোসেন মছন হাজী, আমির উদ্দিন, জালাল উদ্দিন, আব্দুল আজিজ, শফিক উদ্দিন মেম্বার, ইউনুস আলী, আনোয়ার চৌধুরী, বংক বিহারী নাথ, কবির মিয়া, মামুন চৌধুরী, তাজুল ইসলাম তাজু, পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম চান মিয়া, কার্যকরি সভাপতি ইসমাঈল আলী, আনোয়ার হোসেন আনু, ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আলীম উদ্দিন, আমিনুল ইসলাম, রফিক আহমদ, আব্দুল মজিদ খান, প্রদীপ সিংহ, বিশ্বজিৎ সিংহ, এখলাছ আলী, জমির হোসেন, জামাল আহমদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা তাজ উদ্দিন তাজ, রঞ্জিত দেবনাথ ময়না, নাজমুল হক হেলাল, কেফায়েত উল্লাহ, ফখরুল ইসলাম, রুবেল রানা, ইলিয়াস আলী রাশা, কাদির আহমদ, মুহিন উল্লাহ, জাবের আহমদ, রুহুল চৌধুরী, জাকারিয়া আহমদ প্রমূখ।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd