প্রবাসীর সঙ্গে চার বছরের প্রেম, অনশনে বিয়ের পিঁড়িতে স্কুলছাত্রী

প্রকাশিত: ৩:১০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৬, ২০১৭

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দড়িকান্দি গ্রামে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনের পর অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন এসএসসি পরীক্ষার্থী শান্তা আক্তার (১৬)।

বুধবার বিকেলে চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাস্টার দবির উদ্দিন মোল্লা ও গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় ওই স্কুলছাত্রীর বিয়ে দিয়ে অনশন ভাঙান। চাঞ্চল্যকর ওই বিয়ে দেখতে ভিড় করেন এলাকার শত শত উৎসুক নারী-পুরুষ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের কৃত্তিনগর গ্রামের সহি চৌকিদারের মেয়ে রায়পুর আবদুল খালেক তালুকদার উচ্চবিদ্যালরের এসএসসি পরিক্ষার্থী শান্তা আক্তার একই ইউনিয়নের দড়িকান্দি গ্রামের দানেশ মিয়ার ছেলে দুবাই প্রবাসী সোহেল মিয়ার (২৭) বাড়িতে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে অনশনে বসেন।

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বুধবার বিকেলে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গ্রামের গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের সহযোগিতায় সোহেল ও শান্তার বিয়ে হয়।

জানতে চাইলে শান্তা বলেন, সোহেলের সঙ্গে তার প্রায় চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। একপর্যায়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দেয় সোহেল।

শান্তা আরও বলেন, আমাদের এতোদিনের সম্পর্ক অনেক দূর গড়িয়েছে। আমার পরিবার আমাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সোহেল বিয়ে দিতে দেয়নি। পড়ালেখার খরচসহ আমার যাবতীয় খরচ সে বহন করতো। সোহেল এখনও আমাকে ভালোবাসে।

গত সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাত পর্যন্ত সে আমার সঙ্গে কথা বলেছে। ও আমাকে বলেছে তার পরিবার তাকে জোর করে অন্য মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিচ্ছে। তার বিয়ের খবর শুনে আমি বাড়ি ছেড়ে তার বাড়িতে চলে আসি। সোহেলের বাড়িতে গিয়ে অনশন করি। এর মধ্যে চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে আমার দাবি পূরণ হলে অনশন ভেঙে ফেলি।

জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট রওশন আরা বেগম বলেন, সোহেল-শান্তার বিয়ে হয়েছে শুনেছি। মেয়ে যেহেতু এসএসসি পরীক্ষার্থী সেহেতু কোর্টের আদেশ লাগবে। বিশেষ কারণে কোর্টের আদেশ পেলে বিয়ে হতে পারে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

November 2017
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..