ছাতক ভূমি অফিসে আগে ঘুষ পরে কাজ

প্রকাশিত: ১১:৫১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৬, ২০১৭

ছাতকে ভূমি অফিসের অভ্যন্তরে ঘুষ বানিজ্য এখন ওপেন সিক্রেট। দীর্ঘদিন থেকে এখানে অবাধ ঘুষ বানিজ্য অব্যাহত থাকলেও কর্তৃপক্ষ এসব দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে রহস্যজনক কারনে আইনগত কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। সম্প্রতি অফিস সহকারি শামছুদ্দোহা যোগদানের পর এখানে ব্যাপকহারে ঘুষ বানিজ্য আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে উপজেলার প্রায় ৩লক্ষাধিক জনসাধারণ ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
জানা যায়, ছাতক এসিল্যান্ড অফিসের অধিনে পীরপুর, জাহিদপুর, জগঝাপ ও ছাতক সদরসহ ৪টি ভূমি অফিস রয়েছে। এসব অফিসে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ ও ভূমি সংক্রান্ত তথ্যের জন্যে আসেন ভূমি মালিকরা। কিন্তু রেকর্ড পত্র, ভলিয়ম ছেড়ার অজুহাত দেখিয়ে খাজনা নিতে ও তথ্য দিতে অপারগতা জানান সংশ্লিষ্টরা।
এসময় ভূমি মালিকরা পড়েন চরম বেকায়দায়। অবশেষে বাধ্য ঘুষ দিয়েই তাদের কাজ আদায় করতে হয়। এর চেয়ে এসিল্যান্ড অফিসের চিত্র আরো ভয়াবহ। এখানে যেন বইছে ঘুষের রামরাজত্ব। সেবা নিতে আসা লোকজনের সাথে টাকা ছাড়া কথাও বলতে রাজি হননা দায়িত্বরতরা। তাদের কাছে আগে ঘুষ পরে কাজ। ঘুষ ছাড়া যেন ফাইল নড়েনা। এসব অপকর্মে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অফিস সহকারি শামছুদ্দোহা ও কানুনগোর দায়িত্বে থাকা সার্ভেয়ার পিকলু চৌধুরি। সেবা নিতে আসা ভূমি মালিকদের কাছ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। তিনি অজয়, আকমল, আলতাব ও মাসুম নামে ৪জনকে অলিখিত প্রাইভেট কর্মচারি নিয়োগ দিয়ে তাদের মাধ্যমে নিজের কাজ করান।
এসিল্যান্ড অফিস সূত্র জানায়, প্রতিবছর এখানে আড়াই থেকে ৩হাজার নামজারি মোকদ্দমা দায়ের হয়ে থাকে। এসব নামজারি জমা খারিজ, হালনাগাদ রেকর্ড সংশোধন ইত্যাদি অজুহাতে দলিলের প্রকার ভেদে সর্বনি¤œ ১০হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকা ঘুষ আদায় করা হয়। এর সিংহভাগ একাই শামছুদ্দোহার পকেটস্থ হয়ে থাকে। অথচ সরকারি নিয়মানুযায়ি সাড়ে বার শ’ টাকা ফি নির্ধারিত রয়েছে।
এছাড়া দাখিলের সময় প্রতি নামজারি মোকদ্দমায় এন্ট্রি ফিয়ের নামে ৫শ’ টাকা করে আদায় করে থাকেন তিনি। তার নেতৃত্বে এখানে গড়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী দালালচক্র। শহরের বিভিন্ন এলাকায় তার নেতৃত্বে বসে একাধিক মদের আড্ডা। সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষে ভূক্তভোগিরা একাধিক লিখিত অভিযোগ করলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা।
এব্যাপারে সামছুদোহা জানান, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। তিনি অফিসে গিয়ে চা-খাওয়ার দেন। এব্যাপারে এসিল্যন্ড সোনিয়া সুলতানার বিকেল ৩টা ৪৪মিনিটে মুটো ফোনে যোগাযোগ করলে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

November 2017
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..