সিলেট ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:০০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০১৭
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেট ওসমানী হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রেখা রাণী বনিক হাপাতালে যোগদানের পর অদৃশ্য শক্তিমূলে তিনি তার সহযোগী অপর তিনজন নিয়ে গড়ে তোলেন একটি ক্ষমতাধর ‘চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট’ টাকার বিনিময়ে ইচ্ছেমত ডিউটি বণ্টন,বদলী, ছুটি, প্রশিক্ষন, প্রেষন সব কিছুই করে থাকেন। ডিউটিরত স্টাাফনার্সদের কাছ থেকে ওয়ার্ড ভেদে ৫ হাজার থেকে শুরু করে মাসে ২০হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়মিত মাসোহারা গ্রহণ করে থাকেন।ফলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ অন্যান্য দায়িত্বশীলরা ভীত-সন্ত্রস্থ অবস্থায় কর্তব্য পালন করছেন। বিঘিœত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। মাসেমাহারা দিতে না পারলে একাধারে নাইট ডিউটিসহ একাকী ডিউটি করতে হয় নরনীহ স্টাফনার্সদের। প্রশিক্ষণ বা বদলী লেটার আসলে টাকার বিনিময়ে ছাড়পত্র দেন তিনি। টাকা না দিলে ছাড়পত্র দেয়া হয় না। কোন কোন সময় প্রশিক্ষন বদলী ও প্রেষন আদেশপত্র লুকিয়ে রেখে দিয়ে দাবি করে মোটা অংকের টাকা। চাঁদা না দিলে ছাড়পত্র বাতিলও করিয়ে দেন জাল-জালিয়াতি কুটকৌশলের মাধ্যমে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অজান্তে তাঁর অফিসের স্মারক ব্যবহার করে উর্ধতন কর্তপক্ষের কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে আদেশ-নিষেধও হাসিল করে নেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । এধরনের অনেক ঘটনা ও অঘটনের অভিযোগ রয়েছে স্টাফনার্স রেখা- ও তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে।দেশের শাসকদলীয় এক শীর্ষ চিকিৎসক নেতা ও স্থানীয় একজন কথিত সাংবাদিক নেতার সাথে রয়েছে তার হরেক দরহম-মহরম। আর এদের আশীর্বাদেই তিনি এতা বেপরোয়া এবং হাসপাতালের সকল বিভাগ এমনকি পুরো ওসমানী হাসপাতালই রেখার সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রনে ।
অভিযোগ ও তদন্তের ব্যাপারে কথিত সিন্ডিকেট প্রধান সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালের সিনিয়র সাফনার্স রেখা রাণী বনিকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি অভিযোগ ও তদন্তের বিষয়ে কিছুই জানেন না এবং এ ব্যাপারে তাদের কেউ অবগত করেনি বলে জানান।
রেখার বাড়ি নেয়াখালী জেলায়। ১৯৯৪ সাল থেকে তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেবিকা পদে কর্মরত। স্টাফনার্স বা সেবিকা হলেও দৃশ্যত মেডিকেল অপিসার। নার্সের লেবাস কোনদিনই পরেন না তিনি। ২০০৫ সালে বিয়ে করেন শেখর বনিক নামের একব্যক্তিকে। জানা গেছে, স্বামী ৭০লাখ টাকা আত্মসাত মামলায় পলাতক ও আত্মগোপনে থাকায় বিয়ের পর থেকে তিনি নিঃসন্তান ও নিঃসঙ্গ দিনযাপন করেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd