বিশ্বনাথে ‘বয়স্ক ভাতা’ নিতে এসে ভোগান্তির শিকার দু’শতাধিক মানুষ

প্রকাশিত: ২:০৩ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০২১

বিশ্বনাথে ‘বয়স্ক ভাতা’ নিতে এসে ভোগান্তির শিকার দু’শতাধিক মানুষ

Manual2 Ad Code

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় ‘বয়স্ক ভাতা’ প্রাপ্তিতে নিদারুণ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দু’শতাধিক প্রবীণ।
করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি ও লকডাউনের মধ্যে সকাল-সন্ধ্যা অপেক্ষা করেও ভাতা পাচ্ছেন না তারা। সংশ্লিষ্টদের অপব্যবস্থাপনার কারণে দিনের পর দিন ধর্না দিয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যান বয়স্ক নারী-পুরুষ।
সরেজমিন উপজেলা সদরের ডিজিটাল ডাক ঘরের ‘ব্যাংক এশিয়ার’ এজেন্ট শাখায় গিয়ে দেখা যায়, ডাক ঘরের সামনে ভাতা নিতে আসা বয়স্ক নারী-পুরুষের জটলা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ভাতার জন্যে সকাল থেকেই ওখানে অবস্থান নিয়েছেন তারা। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলেও, কাউকে সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা যায়নি। অনেকেই পরেননি মাস্ক। দীর্ঘ অপেক্ষায় কান্ত তারা। কখনও দাঁড়িয়ে, কখনও বসে বার্ধক্যের শরীর নিয়ে চরম বিরক্তির সময় কাটছিল তাদের।
অনেকে দাঁড়িয়ে থেকে অসুস্থ বোধ করছিলেন। সময় তখন সাড়ে ১১টা হলেও, তখনও অনুপস্থিত, ডাক ঘরের উদ্যোক্তা ও ভাতা প্রদানকারী কর্তা কৃপেশ দেবনাথ।
কথা হয় ভাতাভোগী রাজনগর গ্রামের পয়ষট্টি বছর বয়সি মছব্বির আলীর সাথে। তিনি জানান, চলমান পরিস্থিতির মধ্যে আমাদের বাহিরে আসা উচিত নয়। আমরা গরীব মানুষ, তাই ঝুঁকি নিয়ে এসেও নিরাশ হয়ে ফিরে যাই বার বার। লকডাউনের মধ্যে এ নিয়ে চারদিন এসেছি। উদ্যোক্তা (কৃপেশ দেবনাথ) প্রতিবারই ল্যাপটপে সমস্যা বলে ফিরিয়ে দেন। আর প্রতিদিন অল্প ক’জনকে ভাতা দিয়েই চলে যান তিনি।
মুফতির গাঁও গ্রামের আশি বছর বয়সি আমরুজা বেগম জানান, আমাকে প্রথমে একটি ‘বিশেষ টোকেন’ দিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে ভাতা নিতে বলা হয়। পরে সোনালী ব্যাংকে গেলে তারা আবার ব্যাংক এশিয়া’য় পূণরায় আমাকে পাঠান। অসুস্থ শরীর নিয়ে কয়দিন ধরে এভাবেই ঘুরছি আমি।
ভাতা প্রদানকারী ডিজিটাল ডাক ঘরের উদ্যোক্তা ও ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট’র পরিচালক কৃপেশ দেবনাথ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রত্যেক ইউনিয়নে ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট রয়েছে, সবাই ঠিক মতো সেবা দিচ্ছে না। ভাতা প্রদান কার্যক্রম সকলে অব্যাহত রাখলে এ সমস্যার সৃষ্টি হতো না। উপজেলা পর্যায়ে সার্ভিস দেয়ার জন্যই, লকডাউনের মধ্যেও আমি সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্ঠা করছি। মাঝে মধ্যে সার্ভার সমস্যার কারণে বিড়ম্বনার সৃষ্ঠি হয়।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দাশ বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি। কোন ধরণের ভোগান্তি ছাড়াই যাতে প্রবীণরা ভাতা পান সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..