অয়ন বাঁচতে চায় আপনার সহযোগিতায়

প্রকাশিত: ৯:২৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮


Manual5 Ad Code

সিলেট :: প্লে-থেকে ২য় শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সেরাদের সেরা রেহমান সুবহান অয়ন। স্কুলে উপস্থিতি, ছবি আঁকা ছাড়াও মেধায় অনন্য। মাত্র ৭ বছর বয়সী এই মেধাবী মুখটির হাসি কেড়ে নিতে চায় কঠিন ব্যাধি। যথাযথ চিকিৎসা না হলে নিভে যেতে পারে জীবন প্রদীপও। অয়ন পিতা-মাতার একমাত্র পুত্র সন্তান। তার বাসা নগরীর আম্বরখানা মজুমদারী এলাকায় (বাসা নং ৩৯)।

Manual8 Ad Code

ইলেকট্রিক মিস্ত্রি মো. আলমগীর হোসেনের ছেলে নগরীর আম্বরখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্র অয়ন। স্কুলে তার রোল নম্বর এক। কঠিন রোগে আক্রান্ত অয়নের চিকিৎসায় তার দরিদ্র পিতা এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা খরচ করে অনেকটা নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।

দফায় দফায় হাসপাতালে ভর্তি, ডাক্তার বদল ও পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে নিয়মিত। অয়নের পিতা মো. আলম জানান, আড়াই বছর বয়সে প্রশ্রাবের রাস্তায় পাথর আটকে প্রশ্রাব বন্ধ হয়ে যায় অয়নের। সাথে সাথে তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৪দিন ভর্তি থাকার পর অয়নকে নিয়ে আসা হয় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে নেয়ার পর ডাক্তার জানান অয়নের কিডনিতে পাথর হয়েছে। এ কারণে প্রশ্রাব আটকে গেছে। এরপর ঢাকার ল্যাব এইডে ডাক্তার নজরুল ইসলামের কাছে অয়নকে নেয়া হলে তিনিও একই কথা বলেন। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের কিডনি বিভাগে দেখানো হয়। সেখানেও নতুন করে সবকিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ডাক্তার জানান অয়নের দুটি কিডনির চারপাশে প্রতিনিয়ত নতুন করে পাথর জন্মাচ্ছে। এসব পাথর প্রশ্রাবের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। অয়নের বিচিত্র রোগ নির্ণয়ে অবশেষে বোর্ড গঠন করে ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকরা। এরপর বেশ কয়েকদফা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়। যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এরমধ্যে তিনটি টেস্ট রয়েছে যা বাংলাদেশে হয় না। সেগুলো করাতে হয় ভারত বা উন্নত কোন দেশে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অয়নের চিকিৎসার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় ৮ লাখ টাকার প্রয়োজন। এদিকে অয়নের বাবা জানান, সাময়িক চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হলেও ফের অসুস্থ হয়ে পড়ে অয়ন। বার বার একই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে। কিন্তু অয়নের পিতার কাছে চিকিৎসা দুরের কথা টেস্ট করানোর মত টাকাও এখন হাতে নেই। অনেকটা নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন তারা। দ্রুত চিকিৎসার আওতায় না যাওয়ায় ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে অয়ন। রক্ত দিতে হচ্ছে কিছুদিন পর পর। অয়নের রক্তের গ্রুপ বি-নেগেটিভ। যা সংগ্রহ করাও কঠিন। সর্বশেষ ডাক্তার বলে দিয়েছেন, অয়নকে বাঁচাতে হলে দুটি কিডনিই বদলাতে হতে পারে। চিকিৎসকের এমন পরামর্শের পর অনেকটা দিশেহারা অয়নের পিতা-মাতা।

আম্বরখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা দিলরুবা বেগম জানান, অয়ন স্কুলের সব শিক্ষকের প্রিয় ছাত্র। অসুস্থতার কারণে সে অনেক দিন থেকে স্কুলে আসতে পারছে না।  সে খুবই মেধাবী। কারও দিকে একবার তাকালে সে তার ছবি এঁকে দিতে পারে।

Manual4 Ad Code

আমরা চাই সবার সহযোগিতায় অয়নের চিকিৎসা হোক। সে আমাদের মাঝে ফিরে আসুক। অয়নের পিতা-মাতা জানিয়েছেন, স্কুলে যেতে না পারলেও নতুন বই আঁকড়ে রাত দিন শুয়েই থাকে অয়ন। জানতে চায় সে কবে স্কুলে যেতে পারবে? অয়নকে সহযোগিতার জন্য অগ্রণী ব্যাংক আম্বরখানা শাখায় বাবা মো. আলমগীর হোসেনের নামে একটি অনলাইন হিসাব (০২০০০০১৯৮৯৮২৬) খোলা হয়েছে। এছাড়া মোবাইল ০১৯১৫-৪৮৫৬৪৭ নম্বরে বিকাশ করা যাবে। আসুন সবাই মিলে মেধাবী শিশু অয়নের পাশে দাঁড়াই। বেঁচে থাকার সাহস যোগাই সম্ভাবনাময় শিশুটিকে।

Manual7 Ad Code

(প্রয়োজনে যোগাযোগ- ০১৯১৫-৪৮৫৬৪৭ অয়নের পিতা আলমগীর হোসেন।)

Manual6 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..