সিলেট যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত: ৫:০১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০১৯

সিলেট যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

Manual4 Ad Code

জাতীয় যুব পুরস্কার প্রদানের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সিলেট যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। গত ১৭ অক্টোবর সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবরে তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। জেলা পরিষদের ডকেট নং- ৭৮। তারা হলেন- শেফা ফেরদৌস, আসমা-উল হুসনা ও সামসুন্নাহার পুষ্প।

অভিযোগে তারা বলেন- সিলেট যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ডিডি আলা উদ্দিন, উপজেলা কর্মকর্তা আজহারুল কবির, আফিকুর রহমান আফিক সহ যুব উন্নয়নের আরো কয়েকজন কর্মকর্তা গত কয়েক বছর থেকে জাতীয় পুরস্কার প্রদানের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি করে আসছেন। মোটা অংকের টাকার লেনদেন করে সঠিক প্রোফাইল গায়েব করে এবং ভূয়া প্রোফাইলগুলো সিলেট থেকে মনোনীত করে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। তাই প্রকৃত আত্মকর্মীরা প্রতারিত হয়ে দিন দিন কাজের আস্তা হারিয়ে ফেলছেন আর ভূয়া কাগজপত্র দিয়ে জাতীয় যুব পুরস্কার পাচ্ছেন। যারা আদৌ জাতীয় যুব পুরস্কারের যোগ্য নয়।

Manual5 Ad Code

আবেদনকারীরা বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও তারা জাতীয় যুব পুরস্কার ২০১৯ এ তাদের প্রকল্প সমূহের যাবতীয় তদ্যাধি সিলেট যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বরাবরে প্রেরন করেন। কিন্তু তাদের বাস্তবায়ধীন প্রকল্প সমূহকে বঞ্চিত করে এ বছরে যুব পুরস্কার ২০১৯ বাছাই তালিকায় প্রকল্পবিহীন ভূয়া লোকদের মনোনীত করা হয়েছে। যাদের নিজের নামে কোন প্রতিষ্ঠান নেই ভূয়া সার্টিফিকেট বানিয়ে দিয়ে প্রকল্প তৈরী করা হয়েছে। গত ২-৩ বছর যাবত এভাবে জালিয়াতি করে আসছে সিলেট যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। এ বছর যাদেরকে মনোনীত করা হয়েছে তাদের মধ্যে একজনকে টাকার বিনিময়ে সার্টিফিকেট প্রদান করে প্রজেক্ট তৈরী করানো হয়েছে। যার যুব পুরস্কার পাওয়ার কোন যোগ্যতাই নেই এবং তিনি যুব উন্নয়নের ধারে কাছেও কোন দিন আসেননি, যিনি মূলত একজন গৃহিনী। যার নিজের নামে কোন প্রতিষ্ঠান নেই, আপন ভাই মোঃ তৌফিকুল ইসলাম (ছাব্বির) এর নামে যে প্রতিষ্ঠান আছে এটাতে এডিট করে শাহিদা বেগম নামে প্রজেক্ট তৈরি করে জমা দেওয়া হয়েছে।

তাছাড়া যারা যুব উন্নয়নের স্বার্থে ১০-১১ বছর যাবত কাজ করে আসছেন তাদেরকে কোন ভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। সঠিক প্রোফাইল গায়েব করা হয় এবং ভূয়া প্রোফাইল গুলো সিলেট থেকে মনোনীত করে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। সাধারনত সিলেট থেকে যে প্রোফাইল মনোনীত করা হয় সেটাই প্রাধান্য পেয়ে থাকে। যার ফলে প্রকৃত আত্মকর্মী তারা তাদের কাজের আস্তা দিন দিন হারিয়ে ফেলছে।

Manual1 Ad Code

এ ব্যাপারে সুষ্ঠ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক সহ সরকার ও প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

Manual3 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..