ক্বীন ব্রীজে বাতি লাগানোর দায়িত্ব সিসিকের, সংস্কারের নয়: সাবেক মেয়র কামরান

প্রকাশিত: ৭:৩৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৫, ২০১৯

ক্বীন ব্রীজে বাতি লাগানোর দায়িত্ব সিসিকের, সংস্কারের নয়: সাবেক মেয়র কামরান

Manual6 Ad Code

সিলেট নগরীর প্রবেশ দ্বার হিসেবে খ্যাত ঐতিহ্যবাহী কিনব্রিজ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার দাবিতে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে এই দাবিতে আন্দোলনকারীরা। সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় কিনব্রিজের দক্ষিণ মুখে অনুষ্ঠিত হয় এক সভা থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন তারা।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী’র পূর্ব ঘোষিত সিদ্ধান্তের কোন অগ্রগতি না হওয়ায় দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৫, ২৬ ও ২৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও মুরব্বীয়ানদের নিয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

Manual2 Ad Code

মোল্লারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ শেখ মোঃ মকন মিয়ার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট মহানগর সভাপতি সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। তিনি বলেন, কিনব্রিজে বাতি লাগানোর দায়িত্ব সিসিকের, সংস্কারের নয়। সিলেটে ইদানিং চলছে তুঘলকী কান্ড, যার যেমনি ইচ্ছা তেমনি কাজ করছে। দক্ষিণ সুরমাবাসীর সাথে আলোচনা না করে সিটি মেয়র কিনব্রিজ বন্ধ করে বোকামী করেছেন। ব্রিজ সংস্কার করার দায়িত্ব সড়ক ও জনপথ বিভাগের, সিসিকের নয়। কিনব্রিজ বন্ধ করার আগে সিসিকে কোন সভা হয়নি। কোন কাউন্সিলর জানেন না ব্রিজ বন্ধ করার ব্যাপারে। মেয়রের একক সিদ্ধান্তে ব্রিজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ ব্রিজ বন্ধ করলে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করতো। কিন্তু তা হয়নি। এমনকি ব্রিজ বন্ধের ব্যাপারে জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটিতেও কোন আলোচনা হয়নি। সাবেক মেয়র কামরান আরো বলেন, দক্ষিণ সুরমার ঐতিহ্য আছে, একতা আছে। সেটা ধরে রাখতে হবে। তাই আইন-শৃংখলার অবনতি হয় এমন কাজ কেউ করবেন না। আমরা দক্ষিণ সুরমা ঐতিহ্য বিনষ্ট হতে দেবো না।

ভার্থখলা স্বর্ণালী সংঘের সভাপতি শিপল চৌধুরী ও সিলেট উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি মোঃ আলী আহমদের যৌথ পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র তৌফিক বকস লিপন, মহানগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি, সাবেক কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল আলম, বরইকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ হাবিব হোসেন, জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা সুলাইনাম হোসেন, মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মইনুল ইসলাম, সিসিকের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজম খান, ২৫, ২৬ ও ২৭নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর এডভোকেট রোকসানা বেগম শাহনাজ, তেতলী ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফারুক মিয়া, ভার্থখলা পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি হাজী মিছবাহ উদ্দীন আহমদ, রাজনীতিবিদ এডভোকেট এটিএম ফয়েজ, জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, লাউয়াই স্পোর্টি ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুস ছত্তার, ২৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সেমিম আহমদ, ২৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম শিরুল, ২৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন ইরান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ছয়েফ খান, কুচাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন, ভার্থখলা পঞ্চায়েত কমিটির সহ সভাপতি মখলিছুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলী সাধু, ঝালোপাড়া পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম জুনেদ, সমাজসেবী হাজী আব্বাস উদ্দীন জালালী, বন্ধন সামাজিক সংগঠনের সভাপতি আব্দুল মালেক তালুকদার, টার্মিনাল রোড ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ছালিক খান, স্টেশন রোড ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকির হোসেন চৌধুরী, ভার্থখলা স্বর্ণালী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম সাহেদ, আদর্শ সমাজ কল্যাণ সংস্থার সহ সম্পাদক নাহিদ আক্তার রুহেল, স্বর্ণশিখা যুব সংঘের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দুলাল আহমদ, সিলেট জেলা তাতলীগের আহবায়ক আলমগীর হোসেন, এডভোকেট বিপ্লব কান্তি দে মাধব, শাহীন আহমদ, নজরুল ইসলাম, আব্দুল আহাদ, আব্দুল খালিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এস.এম শাহজাহান, সুহেল আহমদ, দুলাল আহমদ, শামীম আহমদ, আব্দুল হাই শ্যামল, মাহি উদ্দীন দারা, এডভোকেট মামুন, চঞ্চল, পারভেজ, এমএন ইসলাম, মুন্তাকিম কাওছার, মুবিন হোসেন চৌধুরী, এছাড়াও রাজনীতিবিদ, সমাজসেবী, ব্যবসায়ী, সামাজিক সংগঠনের অসংখ্য জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।

Manual1 Ad Code

সভায় বক্তারা ক্ষুভের সাথে বলেন, সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সভায় উপস্থিত হয়ে কীনব্রিজ খোলে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে মেয়র দক্ষিণ সুরমাবাসীর সাথে প্রতারণা করেছেন। সভা থেকে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার নিন্দা জানিয়ে বক্তারা বলেন, যদি তার দ্বারা ব্রিজ খুলে দেয়া সম্ভব না হয়, কেন জনসম্মুখে আশ্বাস দিয়েছিলেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি না দেয়ার আহবান জানান। বক্তারা বলেন, রাতের আধারে মেয়র আরিফ কীনব্রিজ বন্ধ করেছেন। তিনি নিজে উপস্থিত হয়ে ব্রিজ খুলে দিতে হবে। সংস্কারের নামে সংস্কারের নামে ব্রিজ বন্ধ করার হলেও সংস্কারের কোন লক্ষণ নেই। আগামী ২২ অক্টোবরের মধ্যে কিনব্রিজ খুলে দেয়া না হলে বিক্ষুব্ধ দক্ষিণ সুরমাবাসী নগর ভবন ঘেরাও সহ কঠো কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

Manual3 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..