ওসমানী বিমানবন্দর ম্যানেজার দূর্নীতিবাজ হাফিজের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

প্রকাশিত: ১১:৪০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১১, ২০১৯

ওসমানী বিমানবন্দর ম্যানেজার দূর্নীতিবাজ হাফিজের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

Manual8 Ad Code

সরকারি চাকুরিবিধি অনযায়ী কোন সরকারী কর্মকর্তা এক জায়গায় বেশিদিন থাকার রেওয়াজ নেই । দুই বছর থেকে সর্বোচ্চ তিন বছর, এই সময়ের মধ্যেই তাদেরকে বদলি করা হয় নতুন কর্মস্থলে । অনেককেই আবার দুই বছরেরও কম সময়ে এক কর্মস্থল থেকে অন্য কর্মস্থলে বদলি করা হয় । সরকারি চাকরিতে নিয়মিত বদলি কিংবা পদোন্নতি পেয়ে বদলিই স্বাভাবিক নিয়ম বা রীতি । কিন্তু হাফিজ আহমদের ক্ষেত্রে এসব নিয়ম-নীতি যেনো কাজ করছে না! একই কর্মস্থলে প্রায় দেড় দশক সময় কাটিয়ে দিয়েছেন তিনি।

Manual7 Ad Code

সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপকের (স্টেশন ম্যানেজার) দায়িত্বে আছেন হাফিজ আহমদ। ২০০৮ সাল থেকে এই দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। এর আগেও তিন বছর টাওয়ার কন্টোলারের দায়িত্বে ছিলেন। একই কর্মস্থলে তিনি বছরের পর বছর ধরে কিভাবে থাকেন, তা নিয়ে ওঠছে নানা প্রশ্ন। অভিযোগ ওঠেছে, দীর্ঘ সময় ধরে ওসমানী বিমানবন্দরে থাকার ফলে ‘অনিয়মের সাম্রাজ্য’ গড়ে তুলেছেন হাফিজ।

Manual3 Ad Code

সম্প্রতি “ওসমানী বিমানবন্দর ম্যানেজার হাফিজ শত কোটি টাকার মালিক” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই সংবাদ প্রকাশের পর নড়েছড়ে বসেছে বিমান মন্ত্রনালয়। শুরু করেছে তদন্ত । উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন হয়েছে বলেও শোনা গেছে। তদন্ত আটকাতে হাফিজ আহমদ দৌড়ঝাপ দিচ্ছেন এমনটাও নিশ্চিত করেছে মন্ত্রনালয় সংশ্লিষ্ট সুত্র।

বিগত বিএনপি সরকারের আমলে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান ‘টাওয়ার কন্ট্রোলার’ পদে হাফিজকে নিয়ে আসেন ওসমানী বিমানবন্দরে। সাইফুর রহমানের বাড়ি মৌলভীবাজারে। হাফিজও নাকি মৌলভীবাজার ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। সেই সুবাদে সাইফুর রহমানের আস্থাভাজন হিসেবেও তার পরিচিত ছিলো।

২০০৮ সালের নভেম্বরে ওসমানী বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হিসেবে যোগদান করেন হাফিজ আহমদ। এরপর প্রায় ১১ বছর ধরে একই পদে একই বিমানবন্দরে বহাল তরিয়তে রয়েছেন তিনি।
একাধিকবার বদলি আদেশ আসলেও অদৃশ্য খুঁটির জোরে বদলি ঠেকিয়ে দেন হাফিজ।

Manual8 Ad Code

জানা গেছে, কয়েক মাস আগে সিলেট সফর করেন বিমান সচিব। তখন তিনি হাফিজ আহমদকে জিজ্ঞেস করেন, কতোদিন ধরে এখানে আছেন? হাফিজ প্রায় এক যুগ ধরে এখানে আছেন শুনে বিস্ময় প্রকাশ করে বিমান সচিব তখন বলেন, ‘এতোদিন ধরে এখানে কিভাবে আছো!

বছরের পর বছর ধরে ওসমানী বিমানবন্দরে থাকার ফলে হাফিজ আহমদ এখানে আধিপত্য গড়ে তুলেছেন। তার ইশারাতেই এ বিমানবন্দরের অনিয়ম-দুর্নীতির শক্ত সিন্ডিকেট চলছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। হাফিজের কথামতোই চলতে হয় বিমানবন্দরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। একটু এদিক-ওদিক হলেই শুনতে হয় কটু কথা। এমনকি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হাত তোলার নজিরও আছে।

সোনা চোরাচালান, ডলার ও রুপি পাচার, ডিউটি ফ্রি শপের মদ বিক্রি, ক্রাইম সিন্ডিকেট গড়ে তোলাসহ অনেক অভিযোগে অভিযুক্ত হাফিজ আহমদ। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইতিমধ্যে মালিক হয়েছেন শত কোটি টাকার। ঢাকা, মৌলভীবাজারে রয়েছে বেশ ক’টি বাড়ি। আমেরিকার গ্রীণকার্ড হোল্ডার এই হাফিজ আহমদের আমেরিকায়ও রয়েছে বিলাসবহুল বাড়ি এমন কথাও জানা গেলো নানা সুত্রে।

Manual7 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..