সততা ও সাহসিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত ইউএনও মৌরীন

প্রকাশিত: ৪:৫৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৬, ২০১৯

সততা ও সাহসিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত ইউএনও মৌরীন

Manual6 Ad Code

প্রজাতন্ত্রের এক সৎ ও দক্ষ নারী কর্মকর্তা সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌরীন করিম। রাষ্ট্রের প্রশাসনিক সেবাদানে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের আস্তা ও ভালবাসা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। সারাদেশ যেখানে অনিয়ম-দুর্নীতর করালগ্রাসে নিপতিত, ঠিক সেই সময়ে নিষ্ঠা ও সততার সাথে তার প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে উপজেলার জনগনের অন্তরের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন নির্বাহী কর্মকর্তা মৌরীন। একজন নারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা হয়েও কর্মক্ষেত্রে যেমন ছোঁয়া লাগেনি অলসতা,অবজ্ঞা-অবহেলার। ঠিক তেমনি তাকে ছুঁতে পারেনি কোন অনিয়ম-দূর্র্নীতি ও আত্মসাত। কর্মনিষ্ঠা, মমতা ও ভালবাসা দিয়ে আপন করে নিয়েছেন জৈন্তাপুর উপজেলাবাসীকে। তাইতো দীর্ঘ দু’বছরের দায়িত্বপালনে কোন অভিযোগ-অনুযোগ নেই তার বিরুদ্ধে। শুধু মায়া-মমতা ও ভালবাসা নয়, শিষ্টের লালন ও দুষ্টের দমনেও তিনি রয়েছেন অত্যন্ত কঠোর। তাই সঠিক দায়িত্বপালনে দুষ্টচক্রের প্রতিবন্ধকতার মূখেও কম পড়ছেন না তিনি। তবে দক্ষতার সাথে মোকবেলা করে যাচ্ছেন সমাজের হীন দুষ্টচক্রেরও। তাইতো অবৈধ ও অসদুপায়ে প্রশাসনিক সুবিধে নিতে কেউই ধারে কাছেও যেতে পারেন না তার।

Manual7 Ad Code

একজন দেশপ্রেমিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে তার সুখ্যাতি রয়েছে সর্বত্র। উপজেলার শিক্ষা-সমাজ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে তার ভূমিকা সর্বত্র প্রশংসার দাবিদার। বিশেষ করে আমলাতান্ত্রিক জঠিলতাকে তিনি মোটেই পছন্দ করেন না। যখন সেটা তা করিয়ে নিতে তিনি সদা তৎপর। উপজেলার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, রাজনীতিবিদ, সামাজিক ও সাংস্কৃতি নেতাকর্মী সবার চোখে তিনি ন্যায়বিচার ও সমতার এক মূর্তপ্রতীক। বিশেষ করে দেশের সূর্যসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মানুষ গড়ার করিগর শিক্ষক সমাজের প্রতি তার একটা আলাদা দায়িত্ব ও অনুভুতি কাজ করে থাকে।

Manual6 Ad Code

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার হাজী আনোয়ার হোসেন’র একটি উচ্ছেদ মামলার (জৈন্তাপুর উচ্ছেদ মামলা নং-২৮/২০১৬-২০১৭) আদেশ বাস্তবায়নে অতি দ্রুততার সাথে কাজ করে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের সূর্যসন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি তার অগাধ ভালবাসার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। অথচ বিষয়টি নিয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ প্রচার করা হয়েছে একটি অনলাাইন মিডিয়ায়। বলা হয়েছে, উচ্ছেদ না করেই জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে দখলমুক্তি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন তিনি। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা হাজী আনোয়ার হোসেন’র সাথে তার অফিসে অসৌজন্যমূলক আচরনও করেছেন। বস্তুত মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার হাজী আনোয়ার হোসেন তার সাথে দেখাই করেন নি। দেখা না করেই একটি দুষ্টচক্র দ্বারা প্ররোচিত হয়ে তিনি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তা প্রচার করেছেন। সংশ্লিষ্ট মিডিয়া তার সাথে কোন যোগাযোগ না করে এবং সরেজমিন তদন্ত না করেই এই মিথ্যঅ অভিযোগের প্রচার করেছে, যা সাংবাদিকতার নিয়ম-নীতির বরখেলাফ বলে তিনি জানান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌরীন করিম এহেন মিথ্যা ও অপপ্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকল মহলের প্রতি আব্বান জানান। বিজ্ঞাপন

Manual1 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..