সিলেট ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৫৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল দুই হাজার ৩০৫ জনে। একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ৬৮৬ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৮১ হাজার ১২৯ জনে।
করোনাভাইরাস বিষয়ে শনিবার (১১ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১ হাজার ৪৭৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ১৯৩টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো নয় লাখ ২৯ হাজার ৪৬৫টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৬৮৬ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৮১ হাজার ১২৯ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩০ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৩০৫ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৬২৮ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৮৮ হাজার ৩৪ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৭ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৫ জন এবং নারী পাঁচজন। এদের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব আটজন, ষাটোর্ধ্ব ১২ জন, সত্তরোর্ধ্ব তিনজন ও ৮০ বছরের বেশি বয়সী একজন ছিলেন। এদের ১৩ জন ঢাকা বিভাগের, ১০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, তিনজন রাজশাহী বিভাগের, তিনজন খুলনা বিভাগের এবং একজন বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
গতকালের পরিস্থিতি
গতকাল শুক্রবারের (১০ জুলাই) বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন ৩৭ জন। ১৩ হাজার ৪৮৮টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৯৪৯ জনের মধ্যে। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু- উভয়ই কমেছে। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ৬৪ জনের। সে তথ্য জানানো হয়, ৩০ জুনের বুলেটিনে। সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড চার হাজার ১৯ জনের, যা জানানো হয় ২ জুলাইয়ের বুলেটিনে।
শনাক্ত, সুস্থতা ও মৃত্যুর হার
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৪৮ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৭ শতাংশ।
বুলেটিনে ডা. নাসিমা করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
বৈশ্বিক পরিস্থিতি
করোনাভাইরাসের ছোবলে গোটা বিশ্ব এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানোর পর বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখন এক কোটি ২৬ লাখ ৩৯ হাজারের বেশি। মৃতের সংখ্যা পাঁচ লাখ ৬৩ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে পৌনে ৭৪ লাখের মতো রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd