তাহিরপুরে ঘাগড়াঘাটে ইজারাদারের কাছে চাঁদাদাবি: লক্ষাধিক টাকা লুট

প্রকাশিত: ১০:১৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৮, ২০১৯

তাহিরপুরে ঘাগড়াঘাটে ইজারাদারের কাছে চাঁদাদাবি: লক্ষাধিক টাকা লুট

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর ঘাগড়া ঘাটে বৈধ ইজারাদার শেখ শফিক মিয়া কাছে স্থানীয় সংঘবদ্ধ প্রভাবশারী চাঁদাবাজদের চাঁদাদাবী ও লক্ষাধিক টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও চাঁদাবাজরা জোড়পূর্বক ঘাট দখল করে বালি পাথর ভর্তি কার্গো,স্টীলবডি ও দেশীয় নৌকা থেকে চাঁদা আদায় করছে।

গত শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে ঘাগড়া গ্রামের দক্ষিনে যাদুকাটা নদীয় পশ্চিম পাড়ে টোল আদায় কালে শেখ শফিক মিয়ার সাথে এই ঘটনা ঘটে। এবিষয়ে সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও তাহিরপুর উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ইজারাদার শেখ শফিক মিয়া।

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার ঘাগড়া ঘাট হতে লাউড়েরগড় পর্যন্ত যাদুকাটা নদীর দু-তীরে বালি পাথর ভর্তি কার্গো, স্টীলবডি ও দেশীয় নৌকা উঠানামার ঘাটটি ৪০লক্ষ ২০হাজার টাকা রাজস্ব দিয়ে গত (৭ই মার্চ) তাহিরপুর ইউএনও অফিস স্মারক নং ০৫, ৪৬. ৯০৯২. ০০০. ০৮. ০৬৭. ১৯২৮৫ এর স্মারক মূলে ১লা বৈশাখ ১৪২৬ বাংলা সনের ত্রিশা চৈত্র পর্যন্ত এব বছর লিজ বন্দোবস্ত গ্রহন করেন শেখ শফিক মিয়া।

এরপর থেকে সরকারী নিয়ম নেমে টোল আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু স্থানীয় সংঘবদ্ধ একটি চাঁদাবাজ চক্র র্দীঘ দিন ধরেই ৩০লাক টাকা চাদাঁদাবী করছে আসছে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় গত শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে ঘাগড়া গ্রামের দক্ষিনে যাদুকাটা নদীয় পশ্চিম পাড়ে টোল আদায় কালে শেখ শফিক মিয়াকে জোরপূর্বক আব্দুল হেকিম,মুক্তার মিয়া,মোর্শেদ মিয়াসহ ২০/৩০জন চাদাঁবাজ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ ঘাগড়া ঘাটে চাঁদাদাবী করে ও প্রান নাশের হুমকি দেয়। এই সময় শেখ শফিক মিয়া কিল ঘুষি মেরে তার কাছে কালো ব্যাগে রক্ষিত ১লাখ ৩০হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এর পর থেকে আসামীগন বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদর্শন করেছে। এছাড়াও চাঁদাবাজরা জোড়পূর্বক ঘাট দখল করে বালি পাথর ভর্তি কার্গো,স্টীলবডি ও দেশীয় নৌকা থেকে চাঁদা আদায় করছে।

এ অবস্থায় ঘাটের ইজারাদার শেখ শফিক মিয়া জানান,আমি জেলা প্রশাসক ও তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি এর পর থেকে সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্র আমাকে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমাকে টোল আদায় করতে না দিয়ে তারাই টোল আদায় করছে। আমি প্রশাসনের নিকট জীবনের নিরাপত্তা ও চাঁদাবাজদের বিরোদ্ধে প্রয়োজনীয় আইননানুগ ব্যবস্থা নেবার দাবী জানাচ্ছি।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির হাসান বলেন,১৪২৬ বাংলা সনে শেখ শফিক মিয়াকে ঘাটটি ইজারা দেওয়া হয়েছিল বলে অফিস নথি রয়েছে। এখন জোরপূর্বক ইজারা বহির্ভূত কেউ চাঁদা আদায় করলে তা খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..