কার্ডে ফোন করলেই পাওয়া যায় পছন্দমত তরুণী

প্রকাশিত: ১:৩০ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০১৯

কার্ডে ফোন করলেই পাওয়া যায় পছন্দমত তরুণী

এর পরের তথ্য, আমাদের এখানে এসি, নন এসি রুম ভাড়া দেয়া হয়। এরপর উল্লেখ করা হয়েছে হোটেলের লোকেশন। আর কল করলে একজন পুরুষ রিসিভ করে। বিনয়ের সঙ্গে বলে, কি সেবা করতে পারি স্যার? সেই সাথে বলে, আপনার জন্য অপেক্ষায় আছেন ঢাকার বিভিন্ন কলেজ, ইউনিভারসিটির ছাত্রী ও মধ্য বয়সের মহিলা যৌ’নকর্মীরা।

ঢাকার পশ্চিম শেওড়াপাড়ার শামীম সরণি গলি পথ। বোরকা পরিহিত এক নারী আবাসিক এ এলাকাটিতে চলাচলকারী পথচারীদের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছেন একটি কার্ড। এ কার্ডেও বড় হরফে লেখা এক ব্যক্তির নাম ও দু’টি মোবাইল নম্বর। কার্ড ধরিয়ে দেয়া নারীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি দ্রুত সটকে পড়েন। পরে কার্ডে উল্লিখিত রানা ভাই নামের ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলা হয় ফোনে।
ফোন করতেই হোটেলের যাবতীয় সুবিধার কথা গড় গড় করে বলে দেয়া হয় (রেকর্ড সংরক্ষিত আছে)। পরিষ্কার হয়, অ’বৈধ যৌ’ন ব্যবসা রমরমা করতেই শহরে আগ্রাসী ভঙ্গিতে ছড়ানো হচ্ছে ওইসব ভিজিটিং কার্ডের প্রচারপত্র। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, কেবল রাজধানী ফার্মগেট বা মিরপুর এলাকাতেই নয়, ঢাকার অন্যান্য এলাকাতেও একাধিক চক্র একই কায়দায় অ’বৈধ ব্যবসা প্রসারে বিলি করছে ভিজিটিং কার্ড।

ভিজিটিং কার্ডের নম্বরধারীরা সাধারণত চারটি ভাগে রাজধানীতে যৌ’নকর্মী সরবরাহ করে। প্রথমত যৌ’নকর্মীকে ভিজিটরের বাসার ঠিকানায় পৌঁছে দেয়া, দ্বিতীয়ত যৌ’নকর্মী ও ফ্ল্যাট ভিজিটরকে নিরাপদে নিয়ে আসা, তৃতীয়ত হোটেল কক্ষে যৌ’ন মিলনে নি’রাপত্তার ব্যবস্থা করা এবং চতুর্থ প্রাইভেট পরিবহন ও পার্ক।

সূত্র জানায়, রাজধানীতে প্রায় প্রতিটি থানা এলাকায় এক হাজারের মতো আবাসিক হোটেল আছে। এসব হোটেলের একটি অংশে প্রশাসনের জ্ঞাতসারেই চলে অবৈধ ব্যবসা। হোটেল মালিকেরা দিন হিসাবে প্রতিমাসে মোটা অঙ্কের নগদ অর্থ প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তার কাছে পৌঁছে দেন। শুধু প্রশাসন নয়, এলাকার প্রভাবশালী অনেকেও সাপ্তাহিক, মাসিক ভিত্তিতে এসব হোটেল থেকে তোলে বিপুল পরিমাণ চাঁদা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পর্বতা সেনপাড়ার এক ব্যক্তি জানান, মিরপুর এলাকায় গত কয়েক মাস ধরে আবাসিক হোটেলে অ’বৈধ ব্যবসা বন্ধ ছিল। তবে সম্প্রতি হোটেল মালিকরা মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে নতুন করে ওই ধরনের অ’বৈধ ব্যবসা শুরু করেছে।
আর মানুষকে জানান দিতে শুরু করেছে আগ্রাসী প্রচারণা। হতাশ কণ্ঠে ওই ব্যক্তি আরো বলেন, লেখালেখি করে তেমন লাভ হয় না। মিডিয়ায় লেখালেখি হলে মাঝে মধ্যে পুলিশ দু-একটি অভিযান চালায়। কিছু নারী-পুরুষ আটক হয়। উচ্ছেদ অ’ভিযান বলতে যা বোঝায় আসলে তা করা হয় না।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..