সিলেট ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৩ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:৩৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি : দেশের অন্যতম পাথর কেয়ারি সিলটের বিছনাকান্দিতে পাথর উত্তোলনের যাবতীয় কার্যক্রম দীর্ঘ ৯ মাস থেকে বন্ধ রয়েছে। ফলে পাথরের সাথে সম্পর্কিত ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও স্থানীয় দিন মজুররা পড়েছেন বিপাকে।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় প্রায় চার লাখ মানুষের বসবাস। শিক্ষায় দেশের অন্যান্য উপজেলা থেকে এ উপজেলাটি পিছিয়ে থাকায় বেশীর ভাগ মানুষ কৃষি ও কেয়ারি নির্ভর। প্রাকৃতিক সম্পদের গর্ভধারীনি উপজেলাটিতে রয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ দু’টি পাথর কোয়ারি জাফলং ও বিছনাকান্দি। ওই দু’ টি পাথর কোয়ারিতে স্থানীয় অর্ধালক্ষধীক মানুষ ছাড়াও দেশের প্রায় সকল জেলা থেকে দুই লক্ষাধিক মানুষ শ্রমিকের কাজ করেন। দু’টি কোয়ারির সাথে সম্পর্কিত ব্যবসায়ী, দিন মজুর ও শ্রমিক পরিবারে চলছে নানা টানাপোড়ন। দীর্ঘ দিন থেকে কোয়ারিতে শ্রমিকের কাজ না পাওয়ায় ঋন ধার করে এত দিন সংসার চালিয়ে আসলেও এখন আর কেউ কাউকে ঋন,ধার দিচ্ছেনা।
ফলে অনাহারে অর্ধাহারে কাঠছে কেয়ারির সাথে সম্পর্কিত হাজার হাজার পরিবারের দৈনিন্দ জীবন। উপায়ন্তর না দেখে ক্ষুদার তাড়নায় শনিবার থেকে বিজিবির অবৈধ বাঁধা উপেক্ষা করে বিছনাকান্দি পাথর কেয়ারিতে শ্রমিকের কাজ শুরু করার হুমকি দিলেন শ্রমিক নেতারা। শুক্রবার বিকাল ৩ টায় স্থানীয় কুপার বাজার মাঠে বিছনাকান্দি পাথর ব্যবসায়ী সমিতি, শ্রমিক সংগঠন ও স্থানীয় এলাকাবাসীর যৌথ উদ্দোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বিজিবির উদ্দেশ্যে এ হুমকি দেন।
বিছনাকান্দি পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মাশুক আহমদের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-সম্পাদক সাবেক ইউপি সদস্যা আব্দুল্লাহের পরিচালনায় বক্তারা বলেন কোয়ারি থেকে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্বেও স্থানীয় বিছনাকান্দি বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম অবৈধ ভাবে কোয়ারি এলাকা থেকে পাথর উত্তোলনে বাঁধা দিয়ে আসছেন। বক্তারা আরো বলেন ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাগজাদি স্থানীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, বিজিবি সেক্টর কমান্ডার ও সিলেট – ৪ আসনের সংসদ সদস্য, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদকে দিয়েছি। ইতিপূর্বে আমরা কেয়ারিতে নামতে চেয়েছিলাম কিন্তু বিজিবি সেক্টর কমান্ডার আমাদেরকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে কোয়ারিতে কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেননি। বিজিবি আমাদেরকে কোয়ারির কার্যক্রমে অবৈধ ভাবে বাঁধাদেয় কিন্তু বাঁধার কারন হিসেবে কোন কাগজ দেখায়নি।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রুস্তুমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউপি সদস্য আশিকুর রহমান, রুস্তুপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ,পাথর ব্যবসায়ী সমিতির উপদেষ্টা এম,এ,হক,আওয়ামী লীগ নেতা বুরহান উদ্দিন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, ব্যবসায়ী আব্দুন নূর সরকার,ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক ও ইউপি সদস্য কামাল হোসেন,ইউপি সদস্য পাপলু আহমদ প্রমূখ।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd