সিলেট ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:১৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৫, ২০১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক :: আউট! ব্যাট টাচ! অনেকের কাছে এগুলো পরিচিত নাম। এসব ব্যাডমিন্টন খেলার প্রচলিত কয়েকটি নাম। প্রকৃতিতে আস্তে আস্তে বইতে শুরু করেছে শীতের হাওয়া। আর শীত মানেই ব্যাডমিন্টন খেলা। শীতের আগমনী বার্তা বোঝার অন্যতম একটি চিত্র এই খেলাটি। শীত আসলেই শহরের প্রতিটি অলিতে গলিতে ব্যাডমিন্টন খেলার ধুম পড়ে। সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি খেলায় অংশ নেন তরুণরা। তালিকা থেকে বাদ পড়েন না মধ্যবয়সী ও মেয়েরাও। তারাও শীতের পরশ বুলানো কুয়াশায় মত্ত থাকেন ব্যাডমিন্টন খেলায়।
গ্রামের কথা ভিন্ন। সেখানে অনেক খালি জায়গা রয়েছে। অনায়াসে বড় করে খেলার আয়োজন করা যায় গ্রামে। কিন্তু শহরের চিত্র অনেকটা ভিন্ন। মাঠ থাকলেও খেলার মত অবস্থা নেই। তাই বলে কি খেলা বন্ধ থাকবে। রাস্তার অলি গলিতে শুরু হয়ে যায় ব্যাডমিন্টনের মাঠ সাজানোর প্রস্তুতি। লাইট, নেট, কক, স্ট্যান্ড। টানা খেলতে খেলতে শরীর ঘেঁমে অস্থির। তবুও মানুষ উপভোগ করে খেলাটি। বাংলাদেশের মানুষ ক্রিকেট ও ফুটবল খেলতে অভ্যস্ত থাকলেও ব্যাডমিন্টন নিয়ে উৎসাহ উদ্দীপনা কোনো অংশেই কম নয়। বরং শীতকাল আসলেই এই খেলাটি সব খেলাকে ছাপিয়ে যায়।
সিলেটের অনেক এলাকাতেও শীতের রাতে অনেককে দলে দলে ভাগ হয়ে ব্যাডমিন্টন খেলতে দেখা যায়।
দেশের তরুণদের কাছে এটি ‘মৌসুমী’ খেলা নামে পরিচিত। শীতের রাতের ব্যাডমিন্টন কোর্টগুলো প্রমাণ করে দেয় খেলাটি এই দেশের মানুষের কাছে কতটুকু জনপ্রিয়। সারাদিন ক্লাস কোচিংসহ ব্যস্ত সময় পার করে সন্ধ্যা হলেই তরুণ ছেলেমেয়েরা হাজির হন ব্যাডমিন্টন খেলতে। পাড়ায় পাড়ায় শুরু হয়ে যায় ‘ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট’।
খেলার নিয়ম
খেলাটিতে প্রতিটি দলে দুইজন করে সদস্য থাকে। তবে একজন করেও খেলা যায়। খেলার জন্য দরকার হয় ব্যাট, কর্ক ও নেট।
‘ব্যাডমিন্টনের কোর্ট’- ব্যাডমিন্টনের কোর্ট সমতল আয়তাকৃতির হয়ে থাকে। একক ও দ্বৈত উভয় ক্ষেত্রে দৈর্ঘ্য ১৩.৪ মিটার হবে। দ্বৈতের জন্য কোর্টের প্রস্থ ৬.১ মিটার। নেটের উচ্চতা হবে ১.৫৫ মিটার। ‘র্যাকেট/ব্যাট ক্ষেত্রে’ আন্তর্জাতিক ভাবে কিছু মাপ রয়েছে। র্যাকেটের দৈর্ঘ্য ৬৮ সেমি এর বেশি হবে না এবং প্রস্থে ২৮ সেমি এর চেয়ে বেশি হবে না। ‘কর্ক’ এর ক্ষেত্রে এর ওজন ৫.৫০ এর বেশি হবে না। এর মধ্যে ১৪ থেকে ৬৪টি পালক থাকবে। একক ও দ্বৈত উভয় খেলায় সাধারণত ১৫ থেকে ২১ পয়েন্টে গেম হয়। উভয় দল ২০-২০ পয়েন্ট অর্জন করলে সেক্ষেত্রে ২ পয়েন্ট বেশি পেয়ে জয়লাভ করতে হবে। অর্থাৎ ২০-২২, ২৪-২৮ ইত্যাদি। উভয় দলের পয়েন্ট সমান হওয়াকে ‘ডিউস’ বলে। এভাবে ৩০ পয়েন্টের মধ্যে খেলা শেষ করতে হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd