সিলেট ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৩ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৪৩ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৫, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : রক্ষণশীলতা ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে লড়াই করে আফগান নারীরা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল তার নতুন শত্রু হয়েই যেন এখন দেখা দিয়েছে যৌন হয়রানি। তালেবান পরবর্তী আফগানিস্তানে নারীদের ফুটবল টিমকে দেশটির নারীদের জন্য নতুন স্বাধীনতার একটি প্রতীক হিসেবেই ধরে নেয়া হচ্ছিল। কিন্তু সবটাই ধুলিস্যাৎ করে দিল যৌন হয়রানির অভিযোগ।
গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত এক খবরে নারী ফুটবলারদের উপর পুরুষ সহকর্মী এমনকি দেশটির ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধেও যৌন নিগ্রহের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি এই ঘটনাকে খুবই ‘জঘন্য’ উল্লেখ করে যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এমনকি এই ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটিও গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তবে সেখানকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও বলছেন, এই সমস্যা শুধু ফুটবলেই না। আরো অন্যান্য খেলাতেও রয়েছে। কঠোর মানসিকতা আর জঙ্গিবাদের সঙ্গে লড়াই করে মেয়েরা এই পর্যায়ে এসেছে। আর সেখানেও তারা যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
বিগত কয়েকদিনে এই সব স্ক্যান্ডাল সামনে এসেছে। সেখানকার অ্যাটর্নি জেনারেলও বলেছেন তারা তদন্ত চালাবেন।
নারী দলটির সঙ্গে সম্পৃক্ত একজনের বরাতে গার্ডিয়ানের খবর থেকে জানা যায়, এই নিগ্রহের ঘটনাগুলো ঘটে আফগানিস্তান ফুটবল ফেডারেশন এএফএফের হেডকোয়ার্টারে এবং জর্ডানে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে গত ফেব্রুয়ারিতে।
সেখানে ক্যাপ্টেন খালিদা পোপালের কথাও তুলে ধরা হয়, যিনি আফগানিস্তানে নারীদের বৈষম্য বিষয়ে বলতে গিয়ে হত্যার হুমকি পেয়ে দেশ ছেড়ে চলে যান। তিনি বলেন, পুরুষ কর্মকর্তারা নারী খেলোয়াড়দের বাধ্য করত।
এএফএফের সেক্রেটারি জেনারেল সায়েদ আলীরেজা আকাজাদা এই সব অভিযোগকে অসত্য বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
আফগানিস্তানের অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট হাফিজুল্লাহ ওয়ালি রাহিমি বলেন, এই ধরনের অভিযোগ নতুন নয়।
সম্প্রতি মেয়েদের ফুটবলকে উন্নত করার চেষ্টা করছে আফগানিস্তান। চার বছর আগে পুরোপুরি মেয়েদের একটি ফুটবল দল তৈরি করে তারা, যেটা পুরুষ ফুটবলারদের পাশাপাশি খেলবে। কিন্তু ২০১৭ সালে আবার ফান্ডের অভাবে এককোণে পড়ে যায় নারী ফুটবল টিম।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd