সিলেট ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:৫৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: দক্ষিণ সুরমার আলমপুরস্থ (হবিন্দি মৌজা) নির্মাণাধীন জননেত্রী শেখ হাসিনা শিশু পার্কের যাত্রা কয়েক মাসের মধ্যে শুরু হতে যাচ্ছে। পার্কের রাইড বসানোর কাজ ইতিপূর্বে সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে পরিস্কার-পরিচ্ছিন্নতার কাজ। সিলেট সিটি কর্পোরেশন চাইলেই আগামী ২/১ মাসের মধ্যে পার্কটি চালু করতে পারবে বলে গত রবিবার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন “ডকইয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং” কোম্পানীর সাব-এসিটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার (এমডি) সাদিকুল ইসলাম। জানা গেছে, ভূমি অধিগ্রহণ, মাটি ভরাট, সীমানা দেয়াল নির্মাণ ও রাইড স্থাপনসহ পার্কটি স্থাপনে দু’দফায় প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় পার্কটির নামকরণ হয়েছে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা শিশু পার্ক’।
২০০৬ সালে নির্মাণকাজ শুরু হওয়া এ পার্কটিতে এখন চলছে পরিস্কার-পরিচ্ছিন্নতার কাজ। পার্কটিতে শিশু ছাড়াও বড়দেরও বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে। নগরবাসীর বিনোদনের কথা চিন্তা করে ২০০৬ সালে সুরমা নদীর তীরবর্তী আলমপুরে ৩ দশমিক ৭৭ একর জমির উপর পার্কটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে কাজ শুরুর পর সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, মাটি ভরাটসহ গাছের চারাও লাগানো হয়। পার্কটি সুরমা নদী তীর ঘেঁষা হওয়াতে রাইড বসানোসহ নদীর সাথে নান্দনিক সিঁড়ি স্থাপনও করা হয়েছে। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলে পার্কটির নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পার্কের কাজ শেষ করতে সম্প্রতি ৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এই প্রকল্পের আওতায় চীনা একটি কোম্পানির সাথে চুক্তি করে পার্কে রাইড বসানোর কাজ চলে। প্রকল্পের কাজের প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে পার্কের নাম নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের একটি ডিও লেটারের সূত্র ধরে পার্কটির নামকরণ হয় ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা শিশু পার্ক’।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শিশুদের বিনোদনের জন্য মনোরেল, ম্যাজিক প্যারাসুটসহ মোট ৯টি রাইড বসানোর ফিটিং কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ম্যাজিক প্যারাসুটে একসাথে ১৮জন ৭০ ফুট উঁচুতে উঠানামা করতে পারবেন। মনোরেলে মাটি থেকে ১৫ ফুট উচ্চতায় এক হাজার ৩৬১ ফুট দূরত্ব অতিক্রম করা যাবে। এটি থাকবে পার্কের চারপাশ জুড়ে। এছাড়া পাইরেটশিপ, টুইস্টার, বাম্পার কার, ফ্লোট ফ্লাইং চেয়ার, ক্যারোস্যাল, জাম্পিং ফ্রগ ও ভিজিটিং ট্রেন রয়েছে।
ভিজিটিং ট্রেন দিয়ে একসাথে ২৬ জনকে নিয়ে ৪২০ ফুট ঘোরা যাবে। ৯টি রাইড ছাড়া বাকিগুলোতে বিনা খরচে চড়া যাবে। তবে পার্কটির নামকরণ ‘শেখ হাসিনা শিশু পার্ক’ করা হলেও এখনও পার্কের সীমানায় কোথাও তাঁর লিখা দেখা যায়নি। সাব-এসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার (এমডি) সাদিকুল ইসলাম জানান, পার্কটির রাইড বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে পরিস্কার-পরিচ্ছিন্নতার কাজ। তিনি বলেন, সিলেট সিটি কপোরেশন চাইলেই আগামী ২/১ মাসের মধ্যে পার্কটি চালু করতে পারবে। সিলেট সিটি কপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী (ইঞ্জি:) নুর আজিজুর রহমান জানান, ‘শেখ হাসিনা শিশু পার্ক’ এর কাজের রাইড বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে পরিস্কার-পরিচ্ছিন্নতার কাজ। তিনি বলেন, আগামী ২ মাসের মধ্যে পার্কটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার পর এর যাত্রা শুরু হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd