স্থানীয় সূত্র জানায়, বিকাল সাড়ে ৩টায় গর্ত ধসের ঘটনা ঘটে। সন্ধা ৬টার দিকে নিহত শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই গর্ত মালিক ও শ্রমিক সর্দার পলাতক রয়েছেন।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জি বলেন, এক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরিচয় সম্পর্কে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
এর আগে ৪ নভেম্বর শাহ আরেফিন টিলায় গর্ত ধসে খায়ের গাঁও গ্রামের আবেদ আলির ছেলে ইব্রাহিম মিয়া আহত হন। ওই ঘটনায় আরেক শ্রমিক নিহত হওয়ার দাবি স্থানীয়রা করলেও সেই শ্রমিকের পরিচয় পওয়া যায়নি। গত ১ নভেম্বর আরেক গর্ত ধসে উপজেলার বটেরতল গ্রামের মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে ফরিদ মিয়া নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গর্ত মালিক দেলোয়ার চৌধুরী, মামুন চৌধুরী এবং হাসনু চৌধুরীর নামে মামলা দায়ের করেলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

উল্লেখ্য, গত এক বছরে শাহ আরেফিন টিলায় অন্তত ৩০ জন শ্রমিক গর্ত ধসে নিহত হয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার অভিযান ও শাহ আরেফিন টিলাকে পাথর উত্তোলনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলা হলেও কোন ভাবেই থামছে না শ্রমিকের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পাথর উত্তোলন।