সিলেট ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:৩৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৮, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সন্ত্রাসী হামলায় গুরুত্বর আহত অবস্থায় সদর উপজেলার ২ নং হাটখোলা ইউনিয়নের বাবুরা গাঁওয়ের আলখাছ মিয়ার ছেলে লোকমান মিয়া দাড়ই (৫৪) মারা গেছেন। সন্ত্রাসী হামলার ৩দিন পর গত বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। এঘটনায় নিহত লোকমানের স্ত্রী আছমা খানম বাদি হয়ে ঘটনার রাতেই জালালাবাদ থানায় ১ জনের নামোল্লেখসহ আরো ৪-৫জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার লোকমানের লাশ তার গ্রামের বাড়ি বাবুরা গাঁওয়ে নিয়ে আসা হলে তার লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। এসময় জড়িতদের দ্রæত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান তারা। সকাল ১১টায় লোকমানের জানাজার নামাজ শেষে জড়িতদের বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষোভদ্ধ জনতা।
জানা গেছে, গত ৪ নভেম্বর রোববার সন্ধ্যায় প্রতিবেশি ঈসমাইল আলীর ছেলে ( মামলায় উল্লিখিত) কবির আহমদসহ শামীম আহমদ, রকিব আহমদ ও তাদের সঙ্গীরা ফোনে ডেকে নিয়ে অতর্কিতভাবে লোকমান মিয়াকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। এর পর আশপাশে লোকজন প্রথমে তাঁকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। অবস্তার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরদিন লোকমানকে ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেন ওসমানী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেখানে নিয়েও বাঁচানো যায়নি তাকে। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে গত বুধবার ভোর রাতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন লোকমান।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় রাজারগাঁও মাদ্রাসা মাঠে তার জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজা পূর্বে লোকমান হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দ্রæত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার আহŸান জানান।
এ ব্যাপারে জালালাবাদ থানার ওসি তদন্ত মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ঘটনার রাতেই মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। গতকাল বৃস্পতিবার আসামির বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ব্যাপারেও সত্যতা নিশ্চিত করেন তিনি বলেন, শুনেছি বিক্ষোব্ধ জনতা অগ্নিসংযোগ করেছে। তবে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার দাস বলেন, আসামিরা পলাতক রয়েছে তবে আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd