সিলেট ১৩ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১২ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:৪৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০১৮
ডেস্ক রিপোর্ট : নগরীর ধোপাদিঘীরপারে পাবলিক টয়লেট উদ্বোধন করা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে আছেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও সিলেট জেলা অটো টেম্পো চালকরা। আজ দুপুর ১২ টার দিকে সিসিক থেকে লোক পাঠিয়ে আরিফুল হক ভেঙে দেন ধোপাদিঘীরপারের লেগুনা স্ট্যান্ড অফিস। এসময় শ্রমিক ও সিসিক কর্মচারীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন মেয়র আরিফ।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ধোপাদিঘীর পারে লেগুনা -টেম্পো স্ট্যান্ড থেকে যাত্রীরা সিলেট-তামাবিল সড়কে যাতায়াত করছেন। তবে মেয়র আরিফ সম্প্রতি সেখানে পাবলিক টয়লেট করার জন্য নোটিস দেন শ্রমিকদের। নোটিস প্রাপ্তীর পর কয়েক দফা আরিফের সাথে বৈঠক করেন শ্রমিকরা। কিন্তু সিসিক থেকে জানানো হয় স্ট্যান্ডটি অবৈধ, ছেড়ে দিতে হবে। অন্যদিকে শ্রকিরা দাবি করছেন, তাদেও স্ট্যান্ডটির বয়স এবং যাত্রীদের সেবার কথা চিন্তা করলে এটি বৈধ। তাই তারা বিভিন্ন স্মারকলিপি চালাচালির মাধ্যমে স্ট্যান্ডটি না ভাঙার আহŸান জানান। সব অনুরোধ উপেক্ষা করে আরিফ সেখানে পাবলিক টয়লেট বানিয়েছেন। আজ বিকেলে টয়লেটটি উদ্বোধন করার আগে দুপুরে সিসিকের কর্মচারী পাঠিয়ে শ্রমিকদের অফিস উচ্ছেদের চেষ্টা করেন আরিফ। এতে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে আরিফ শ্রমিকদের অন্য স্থানে স্ট্যান্ড করে দিবেন বলে সন্ধ্যায় বৈঠকে বসার আমন্ত্রণ জানান।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা হিউম্যান হলার চালক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা মো. রুনা মিয়া মইন বলেন, ‘ এই স্ট্যান্ডটি ৩০ বছরের পুরোনো। এখান থেকে যাত্রীরা সিলেট তামাবিল চলাচল করেন। পাবলিক টয়লেট যেমন জরুরি, স্ট্যান্ডটিও নগরীর যাত্রীদের জন্য জরুরি। কিন্তু বিকল্প চিন্তা না করেই গায়ের জোরে আরিফ স্ট্যান্ড উচ্ছেদে নেমেছেন। আমরা কর্মসূচিসহ তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিব।
এ ব্যাপারে সিসিক মেয়র আরিফুল হকের ঘনিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শ্রমিকদের বিষয়টি নিয়ে আজ রাত ৮ টার দিকে বৈঠকে বসবেন তিনি। আপাতত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd