সিলেট ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:৩৫ অপরাহ্ণ, জুন ১২, ২০১৮
বিশেষ প্রতিনিধি :: ঈদ উপলক্ষে নারী ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে শাড়ির দোকানগুলোতে। ভিন্নধর্মী নক্সা, চোখ ধাঁধানো রং আর মনকাড়া কারুকাজের শাড়িগুলো নজর কাড়ছে নারীদের। বিশেষ করে এবার ঈদে ঐতিহ্যবাহী ও ভারি কাজের শাড়ির প্রতিই নারীদের আকর্ষণ সবচেয়ে বেশি।
নগরীর শাড়ি দোকানের বিক্রেতারা জানান, এ পর্যন্ত ভারতীয় বিভিন্ন কাতান শাড়িই বেশি বিক্রি হচ্ছে। বিক্রি তালিকায় এগিয়ে আছে আদি জামদানি। ভরা বর্ষায় ঈদ উদযাপনে গরম ও বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে দেশীয় বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসগুলো এনেছে হালকা ও আরামদায়ক শাড়ি। আধুনিকতার সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উৎসব পালনে তরুণীরা বেছে নিচ্ছেন জর্জেট, শিফন ও সিল্কের কাপড়।
বর্তমানে ক্রেতাদের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পণ্যের ডিজাইন ও কারুকার্যের অনেক পরিবর্তন এসেছে। শাড়ির ডিজাইনগুলো নিজস্ব তাতে নিজস্ব ফ্যাশন ডিজাইনার ও অনেক ক্ষেত্রে বিদেশী ডিজাইনার দিয়ে করানো হয়। যদিও বর্তমানে অনেক বড় বড় শপিংমল ও কিছু নামকরা ব্রান্ড শাড়ি বিক্রি করে থাকে।
ব্যবসায়ীরা জানালেন, এবার পিওর সিল্ক, জরজেট, বিয়ের কাতান, কাতান, বেনারসি সিল্ক, কাঞ্জিবরন, ক্যাটালগ, মেঘদূতসহ বিভিন্ন ধরনের শাড়ির জনপ্রিয়তা রয়েছে। এগুলোর দাম ১২ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। আলহামরা শপিং সিটি ও সিটি সেন্টারের বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঈদে কাতান শাড়ির চাহিদা একটু বেশি থাকে। তাদের মতে, প্রায় শতাধিক ধরনের পণ্য রয়েছে তাদের দোকানে। তবে ক্রেতাদেরকে দেশীয় পণ্যে ও ইন্ডিয়ান পণ্যের পার্থক্য বুঝাতে কিছু ইন্ডিয়ান শাড়িও রাখা আছে দোকানে বলে জানান রুপসাগর শাড়ি ঘরের পরিচালক মাছুম আহমদ। এখানে কাতান, বেনারসি, জামদানি, কাড়িয়াল, খাড্ডি, কাটিয়াল, বেলগাও, ন্যানো কাতান, ফুলকলি, সামার, রিভারসিভার, ওতাদ জামদানি, ইটকাট, কানিআঁচল, দেবদারু, সামু সিল্কসহ একাধিক শাড়ি কালেকশান রয়েছে।
আলহারা শপিংমলের তায়েফ শাড়ি ঘরের শাড়ির ম্যানেজার বলেন, উৎসবের মৌসুমে সব ধরনের ভারি কাজের শাড়ির প্রতিই ক্রেতাদের আগ্রহ থাকে। তবে এ মৌসুমে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী কাতান শাড়িগুলোই বেশি বিক্রি হচ্ছে। তিনি জানান, এবার লেহেঙ্গা কম বিক্রি হলেও লেহেঙ্গ স্টাইলের শাড়ি বিক্রি হচ্ছে। অনেকেই আবার পার্টি শাড়ি খুঁজছেন।
উপশহর থেকে জিন্দাবাজারে আসা মৌসুমী ইসলাম জানান, ঈদের জন্য তিনি ভারতীয় বেঙ্গল কাতান শাড়ি কিনেছেন। তার মতে, উৎসবে জাঁকজমকপূর্ণ ভাব ফুটিয়ে তুলতে কাতান শাড়ির বিকল্প নেই।
এছাড়া নগরীর হকার্স মার্কেট, শুকরিয়া, মধুবন,হাসান মার্কেট, ব্লু ওয়ার্টার, মিলেনিয়াম মার্কেটসহ নয়াসড়ক ও কুমারপাড়া ভিত্তিক বিভিন্ন দেশীয় ফ্যাশন হাউস ও বিপণি বিতানগুলোতে এবার জামদানি, কাতান, সিল্ক, হাফসিল্ক এবং বেনারসি শাড়ির দিকেই বেশি ঝুঁকছেন নারীরা। গরমের কথা মাথায় রেখে এবার শাড়িতে অল্প ডিজাইন ও হালকা রঙের কাজগুলো কমই প্রাধান্য পেয়েছে।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবারের ঈদে চাহিদাসম্পন্ন শাড়ি হচ্ছে ‘চেন্নাই কাতান’ ও ‘বেঙ্গল কাতান’। এ শাড়ির আঁচলে ভারি কাজের পাশাপাশি সারা গায়ে হালকা কাজের সঙ্গে ভারি কাজও থাকছে। এর মূল্য ৫ হাজার থেকে ১৪ হাজার টাকা।
এছাড়া, শাড়ির মধ্যে রয়েছে জামদানি, টাঙ্গাইল ও পাবনার তাঁতের শাড়ি এবং মিরপুরের কাতান। টাঙ্গাইলের সুতি শাড়ি এক হাজার টাকা থেকে ছয় হাজার টাকা, রাজশাহী সিল্ক চার হাজার ৫০০ টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা এবং সুতি শাড়িতে ব্লক, বাটিক, হাতের কাজ ও এ্যাপ্লিক করা এক হাজার ৩০০ টাকা থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে বলে। তবে ঈদ কেন্দ্রিক শাড়ির বাজার এখনও ভারতীয় শাড়ির দখলে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
তাঁতের শাড়ির দাম পড়বে সুতি ১০০ থেকে ৫ হাজার টাকা, সিল্ক ৮ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা, মসলিন ৪ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা, হাফ সিল্ক ২৫ শ’ থেকে ৬ হজার টাকা।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd