সিলেট ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৫৪ অপরাহ্ণ, জুন ২, ২০১৮
আলী হোসেন, জৈন্তাপুর থেকে ফিরে :: জৈন্তাপুরে সিলেট জেলার সবচেয়ে বৃহৎ ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়েছে।”অমিয় ভাষণ -স্বাধীনতা” নামের এই ম্যুরালটি ৩১মে সিলেট ৪-আসনের সংসদ সদস্য ও ডাক টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমদ এই ম্যুরালটির উদ্বোধন করেন । জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ও অস্ত্র হাতে মুক্তি যোদ্ধাদের উল্লাস’র এর এই দেয়াল চিত্রটি নির্মাণ করা করা হয়েছে।
জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের বাহিরের একটি দেয়ালে। ১৩ফুট উচ্চতা ও ১২ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট দেয়াল চিত্রের নীচে ভূমি সমান্তরালে তৈরী করা হয়েছে একটি স্থম্ভ^। যেখানে ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে। এর নির্মাণ শৈলী ও অন্তর্নিহিত ভাব মিলে চেতনা উদ্রেকের পাশাপাশি সৌন্দর্য অবলোকনের একটি স্থান হয়েছে এটি। ম্যুরালের সামনে অদূরে গাছের নীচে তৈরী করা হয়েছে একটি বেঞ্চ। যেখানে বসে যে কেউ এটার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌরীন করিম এর পরিকল্পনায় ও উপজেলা প্রশাসনের বাস্থবায়নে নির্মিত এই ম্যুরালটি সিলেট জেলার সর্ববৃহৎ ম্যুরাল বলে জানা যায়। উদ্বোধনের পর হতে প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী এই ম্যুরালটি দেখতে আসছেন। তরুণ,বৃদ্ধসহ নানা বয়সী মানুষ সকলেই ম্যুরালের সামনে দাড়িয়ে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছেন। ম্যুরালটি নির্মাণের উদ্দেশ্য জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌরীন করিমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী। তাঁর সাত মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম দিক নির্দেশনা ও প্রেরণা। আর স্বাধীনতা হচ্ছে বাঙ্গালী জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। এই বিষয় গুলো আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই এই ম্যুরালটি নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে তা বাস্থবায়ন করেছি। ম্যুরালটি উদ্বোধনের পর তা দেখতে এসেছিলেন জৈন্তাপুর উপজেলা মুক্তি যোদ্ধা সংসদ এর সাবেক কমান্ডার সিরাজুল হক। তিনি জানান জাতির পিতার সাত মার্চের ভাষণের আহব্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলাম। তাঁর এই চিত্রটি তুলে ধরায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ। স্বাধীনতা পরবর্তী প্রজন্মের এই অফিসার ইতোমধ্যে জৈন্তাপুরের মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ব্যতিক্রম ধর্মী সম্মাননা দিয়েছেন। এবার এই ম্যুরালটি নির্মাণ করে জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধ কে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরলেন। তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। ম্যুরাল এর সামনে ছবি তুলতে আসা নতুন প্রজন্মের এক প্রতিনিধি জৈন্তিয়া কলেজের দ্বাদশ শ্রেনির ছাত্র প্রণব দাস বলেন আমরা বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার ইতিহাস পড়েছি,এই চিত্রটির সামনে দাড়িয়ে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। এটা দেখলে মনের মধ্যে একটি চেতনা জাগ্রত হয়। এজন্য ধন্যবাদ জানাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌরীন করিমকে। জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদ এ আমাদের গৌরবময় ইতিহাসের কোন স্মারক স্থাপত্য ছিলনা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে এক্ষেত্রেও আমার একটা দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতার জায়গা ছিলো। সেই দায়বদ্ধতা থেকে এটা নির্মাণের উদ্যোগ নেই।
জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি উপাধ্যক্ষ শাহেদ আহমদ জানান, এই ম্যুরালটি নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে আগ্রহী করে তুলবে,ভবিষ্যত প্রজন্ম ইতিহাসের সঠিক মুল্যায়ন করবে বলে তিনি মনে করেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd