সিলেট ১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৬ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৫২ অপরাহ্ণ, মে ২৮, ২০১৮
প্রতিনিধি সুনামগঞ্জ :: ঈদকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট,বালিয়াঘাট ও চাঁরাগাঁও সীমান্ত দিয়ে লক্ষলক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন অবাধে পাচাঁর করা হচ্ছে কয়লা ও পাথরসহ মদ,গাঁজা,হেরুইন,ইয়াবা। আজ ২৮.০৫.১৮ইং সোমবার সকাল ৮টায় বালিয়াঘাট সীমান্তের ১১৯৬এর ৬এস পিলার সংলগ্ন লালঘাট এলাকা দিয়ে চোরাচালানীদের সর্দার সুলতান মিয়া,মাসুক মিয়া ও সোহল মিয়ার নেতৃত্বে ১০-১৫জন ভারত থেকে কয়লা পাচাঁর করার সময় চুরাই কয়লার গুহায় কয়লার চাপা পড়ে হেলিম মিয়া (২০) নামের এক চোরাচালানী গুরুতর আহত হয়েছে। আইনী জামেলা এড়ানোর জন্য তাকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে গতকাল ২৭.০৫.১৮ইং রোববার রাত সাড়ে ১১টায় বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের ১১৯৭নং সীমান্ত পিলার সংলগ্ন লাকমা পশ্চিমপাড়া এলাকা দিয়ে চাঁদাবাজি ও কয়লা চোরাচালান মামলার জেলখাটা আসামী কালাম মিয়া,জিয়াউর রহমান জিয়া ও আব্দুর রাজ্জাক তাদের ২৫-৩০জন লোক দিয়ে প্লাষ্টিকের বস্তা বোঝাই করে ভারত থেকে কয়লা ও বিপুল পরিমান মদসহ ইয়াবা পাচাঁর করে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন দুধেরআউটা গ্রামে নিয়ে যাওয়ার সময় পার্শ্ববর্তী টেকেরঘাট ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৩মে.টন চোরাই কয়লা জব্দ করে। এসময় চোরাচালানীরা মদ ও ইয়াবা নিয়ে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী জানায়,পাচাঁরকৃত ১ বস্তা কয়লা থেকে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের নামে ৮০টাকা,টেকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই ইমামের নামে ৫০টাকা,একাধিক চোরাচালান মামলার আসামী আব্দুর রাজ্জাকের নামে ৫০টাকা,কালাম মিয়া ও জিয়াউর রহমান জিয়ার নামে ৪০টাকা চাঁদা নিয়ে কয়লার বস্তায় করে কয়লার সাথে মদ ও ইয়াবা পাচাঁর করে দুধেরআউটা গ্রামে নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ওপেন বিক্রি করছে চোরাচালানীরা। এব্যাপারে একাধিক চোরাচালান মামলার জেলখাটা আসামী বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী লালঘাট গ্রামের কালাম মিয়া বলেন,রাজ্জাক ভাই ও এএসআই ইমাম স্যারের নির্দেশে আমি চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করি,পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে লেখলে কিছুই হবেনা,তারাই সব ম্যানেজ করবে। টেকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই ইমাম বলেন,সীমান্ত চোরাচালান বন্ধ করার দায়িত্ব বিজিবির,আর আমার নামে কালাম মিয়া চাঁদা নিয়েছে কিনা এব্যাপারে তাকে আমি জিজ্ঞাসা করব। বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার হাবিলদার দুলাল বলেন,আমার সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরাচারান বন্ধ আর কেউ ক্যাম্পের নামে চাঁদা নেয় বলে আমার জানা নাই। টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার এমডি আনিস বলেন,পাচাঁরকৃত চোরাই কয়লা আটক করেছি,কিন্তু চোরাচালানীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি,তবে চোরাচালানের ব্যাপারে আমার কাছে সঠিক তথ্য আসলে আমি জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd