সিলেট ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:২৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০১৮
নিজস্ব প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে ধর্ষণের পর হত্যা করে কিশোরীর মরদেহ হাওরে ফেলে দেয়া বাবুল মিয়া অবশেষে গ্রেফতার হয়েছেন। র্যাব-৯ সিলেটের একটি টিম তাকে সিলেট জেলার বিয়ানিবাজার এলাকা থেকে শুক্রবার গভীর রাতে গ্রেফতার করে।
শনিবার দুপুরে তাকে নিয়ে সিলেট র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের কথা রয়েছে। বিষয়টি র্যাবের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, বিউটি আক্তার (১৬) নামে ওই কিশোরীকে গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে উপজেলার ব্রাহ্মণডুরা ইউপির মহিলা সদস্য কলম চান বিবির ছেলে বাবুলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে কলম চান বিবিকে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ এবং বাবুলের বন্ধু ইসমাইল মিয়াকে অলিপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে ঘটনার মূল আসামি বাবুল শুরু থেকেই পলাতক ছিল।
মামলার বিবরণে বাদী উল্লেখ করেন, স্থানীয় মোজাহের উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বিউটি আক্তারকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো বাবুল মিয়া। এক পর্যায়ে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২১ জানুয়ারি বাবুল তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এ বিষয়ে গত ৪ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে একটি মামলা করা হয়।
নির্যাতিত কিশোরীর বাবার ভাষ্য, এ ঘটনার পর বিউটিকে লাখাই উপজেলার গুনিপুর গ্রামে তার নানার বাড়িতে রেখে আসেন। ১৬ মার্চ রাত ১২টার দিকে টয়লেটে গিয়ে আর ঘরে ফিরেনি বিউটি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরদিন ১৭ মার্চ গুনিপুর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে হাওরে তার মরদেহ পাওয়া যায়। তার শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায় পুলিশ।
এ ঘটনায় ১৮ মার্চ কিশোরীর বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে একই গ্রামের বাবুল মিয়া (৩২) ও তার মা ইউপি সদস্য কলম চান বিবিকে (৪৫) আসামি করে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে কলম চান বিবিকে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ এবং বাবুলের বন্ধু ইসমাইল মিয়াকে অলিপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
হাওরে কিশোরীর মরদেহ পড়ে থাকার ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এরপর থেকেই বেরিয়ে আসতে শুরু করে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd