ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : যশোর শহরের হোটেল সিটি প্লাজায় এমপির ছেলের কক্ষ থেকে এক নারী পুলিশসহ তাকে ‘আটক’ করে নিয়ে গেছেন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা।
সোমবার কোতোয়ালি থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর (অপারেশন) শামসুদ্দোহা ওই হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন। পুলিশ আটকের ঘটনা নিয়ে লুকোচুরি করলেও হোটেল কর্তৃপক্ষ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
আটক শুভ যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনের সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য্য ও যশোর মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তন্দ্রা ভট্টাচার্য্যে ছেলে। আর সাবরিনা সুলতানা মণিরামপুর থানা পুলিশের এএসআই।
হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার শেখ সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শুভ’র ম্যানেজার তুষার দুপুর একটার দিকে এসে হোটেল সিটি প্লাজার ৫১৪ নম্বর রুম ভাড়া নেন। এর কিছুক্ষণ পর হোটেলে আসেন এমপির ছেলে শুভ। এর পরপরই আসেন এএসআই সাবরিনা সুলতানা। হোটেল কক্ষে নারীকে ঢুকতে দেখে স্টাফদের একজন ফোন দেন। তখন শুভ ওই নারীকে মণিরামপুর থানা পুলিশের কর্মকর্তা ‘নিঝুম ভট্টাচার্য্য’ হিসেবে পরিচয় দেন। বলেন, ‘উনি একটি কাজে এসেছেন। কিছু সময়ের মধ্যে চলে যাবেন।
পুরুষের কক্ষে নারী ঢোকায় হোটেল কর্তৃপক্ষ কোতোয়ালি থানাকে অবহিত করেন। থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) শামসুদ্দোহা অল্প সময়ের মধ্যে হোটেলে এসে শুভ ও সাবরিনকে নিয়ে যান।
হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার শেখ সাইফুল ইসলাম বলেন, পুলিশের নির্দেশনা অনুযায়ী হোটেল কক্ষে নারী থাকার ঘটনা থানায় অবহিত করা হয়। এরপর থানার অফিসার শামসুদ্দোহা কক্ষটি থেকে শুভ ও এএসআই সাবরিনকে আটক করে নিয়ে যান।
মণিরামপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকাররম হোসেন নিশ্চিত করেন, তার থানায় ওই নামে একজন নারী কর্মকর্তা রয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন শিকদার সাংবাদিকদের বলেন, একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তা অফিস অর্ডার ছাড়া হোটেল সিটি প্লাজায় গিয়েছিলেন। কী কারণে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন, তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
আর এমপির ছেলে শুভকে আটক করা হয়েছে- এমন কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই বলেও দাবি করেন এডিশনাল এসপি।
এদিকে পরে থানা থেকে এমপির ছেলেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। শুভর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সূত্র- শরীয়তপুর প্রতিদিন