সিলেট ২৬শে জানুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই মাঘ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ | ১২ই জমাদিউস সানি, ১৪৪২ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:১০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৭
Sharing is caring!
মায়াবী ঝরনা উপভোগ করতে সপরিবার সেখানে গিয়েছেন ঢাকার ফার্মগেট এলাকার বাসিন্দা ও একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী বেলাল আহমদ। বেলা পৌনে তিনটায় তিনি মোবাইলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঈদের বন্ধের ঠিক আগে আগেই মায়াবী ঝরনার বিষয়টি আমার মেয়ের মাধ্যমে জানতে পারি। নতুন আবিষ্কৃত এই পর্যটন স্পটটি দেখার জন্যই ছুটি কাটাতে আমরা সিলেটে এসেছি। এখন স্পটটি দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগছে।’
বেলালের মতো আরও অনেক পর্যটক মায়াবী ঝরনা ঘিরে ভিড় জমিয়েছেন। তাঁরা ঝরনাটি উপভোগ করার পাশপাশি পার্শ্ববর্তী জাফলং, খাসিপুঞ্জি, তামাবিল পয়েন্ট ও শ্রীপুর পর্যটন স্পটও দেখছেন। এ ছাড়া টিলার ওপর আকাশে মেঘেদের ওড়াওড়িও মানুষ প্রাণভরে উপভোগ করছেন। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, ঈদুল আজহায় পর্যটকেরা সাধারণত বেড়াতে আসেন ঈদের দুদিন পর। এ ক্ষেত্রে আগামীকাল সোমবার থেকে পর্যটকদের ভিড় বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিছনাকান্দিতে ভিড় করেছেন পর্যটকেরা। ছবি: আনিস মাহমুদআজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখা গেছে, কেবল মায়াবী ঝরনা আর জাফলং ঘিরেই পর্যটকদের ভিড় ছিল না, অন্যান্য পর্যটন স্পটেও পর্যটকেরা ভিড় করেছেন। সবচেয়ে বেশি ভিড় ছিল জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত জলারবন খ্যাত রাতারগুল এবং জল-পাথরের শয্যাখ্যাত বিছনাকান্দিতে। এ দুটি পর্যটন স্পটে সাম্প্রতিক সময়ে ঈদের বন্ধে বরাবরই প্রচুর পর্যটকের ভিড় জমে। ব্যতিক্রম হয়নি এবারও। ছুটি কাটাতে তাই মানুষের ঢল নেমেছে এসব পর্যটন স্পটে। এর বাইরে জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ হাকালুকি হাওর ঘিরেও ছিল পর্যটকদের ভিড়।
সিলেট নগরের জিন্দাবাজার এলাকার গোল্ডেন সিটি হোটেলের ব্যবস্থাপক মিষ্টু দত্ত বলেন, ‘অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার তুলনামূলকভাবে পর্যটকের উপস্থিতি কম। মূলত বৈরী আবহাওয়া, বন্যা এবং সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রিক রাস্তাগুলো বিধ্বস্ত থাকার কারণে পর্যটকেরা খুব একটা আসেননি। এর ফলে আমাদের হোটেলের অধিকাংশ কক্ষ এখনো ফাঁকাই রয়ে গেছে।’ তবে তিনি এও জানান,ছুটির দিনে ভিড় জমান।পর্যটকেরা ।
বিছনাকান্দিতে আসা পর্যটকদের সেলফি তোলার ধুম।সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. রাহাত আনোয়ার বলেন, ‘যেহেতু জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় মায়াবী ঝরনা, জাফলং, রাতারগুল ও বিছনাকান্দি ঘিরেই পর্যটকদের ভিড় বেশি হয়, তাই সেসব এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ জেলা প্রশাসক বলেন, ‘পর্যটকদের সুবিধার জন্য যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে রাখা হয়েছে লাইফজ্যাকেটও। এ ছাড়া ফেঞ্চুগঞ্জের হাকালুকি হাওরেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পর্যটনকেন্দ্রিক এলাকায় স্থানীয় প্রশাসন সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে।
………………………..
Design and developed by best-bd