এমপি ইয়াহহিয়া চৌধুরীকে নিয়ে সিলেটে তোলপাড় : পাসপোর্ট জালিয়াতি

প্রকাশিত: ২:২৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭

ক্রাইম ডেস্ক : পাসপোর্ট জালিয়াতি করে মন্ত্রী ও এমপির ছেলে এবং পিএস বানিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লোক পাঠাচ্ছে পরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় কেন্দ্রীক একটি দালাল চক্র। ফলে এই চক্রটি অদৃশ্য ক্ষমতার বলে অবৈধ ভাবে হানিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
এমনি এক ঘটনার জন্ম হয় সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ইয়াহিয়া চৌধুরীকে নিয়ে।
জানা যায়, প্রথমে বেসরকারি টিভি চ্যানেল এটি এন বাংলা সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ইয়াহিয়া চৌধুরীর বিরুদ্ধে নজির বিহীন জালিয়াতির অভিযোগের খবর প্রকাশ করে।
এতে বলা হয় গত ৬ অক্টোবর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইমীগ্রেশন ও সকল জায়গাতেই পাসপোর্ট জালিয়াতি করে ৭ ব্যক্তি ঢাকা থেকে জাপান চলে যায়। তাদের সাথে জাপানে যান সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া চৌধুরী ও আরো ৪জন সংসদ সদস্য।
পাসপোর্টে তাদের ছেলের নাম বসিয়ে ও ভুয়া পাসপোর্ট করে ভিসার আবেদন করা হয়। পরে ভিসা পেয়ে তারা চলে যায় জাপানে। নজির বিহীন এ জালিয়াতির গজটনা উঠে এসেছে এটিএন বাংলারেই অনুসন্ধানে। এ ঘটনায় সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গন’সহ সর্বমহলে শুরু হয়েছে তোলপাড়।
কিন্তু উক্ত বর্ননা ও ঘটনার দৃশ্যপট পাল্টে যায় সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ইয়াহিয়া চৌধুরীর সাথে আলাপ করে।
তিনি বলেন, পরাষ্ট্রমন্ত্রালয় আমাকে না জানিয়ে কিংবা কোন প্রকার যোগাযোগ না করেই কিভাবে একজন সংসদ সদস্যের পিএস ও ছেলের পাসপোর্ট দেখে বিদেশ সফরের অনুমতি দেয়। তার কারণ আমার জানা নেই। এছাড়া কিভাবে তদন্ত ছাড়াই জাল পাসপোর্ট তৈরী করা হয়, এর কারণও খুজে পাচ্ছি না।
পরাষ্ট্রমন্ত্রয়ের উচিত হলো, একজন সাংসদের সাথে যোগাযোগ করা, প্রয়োজনে লিখিত ভাবে, পিএসের ক্ষেত্রে অন্যান্য প্রমানের সাথে আইডি কার্ড চেক করা, তালিকা দেখা, আসলেই কি সন্তানের পাসপোর্ট, তা দেখা, অথবা সন্তান একা কেন দেশের বাহিরে যাবে তা দেখা। এছাড়া অনেক কারণ রয়েছে। কিন্তু তা না করে কিভাবে পরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় পাসপোর্টে ভিসা লাগান, এর কারণ আমি খুজে পাচ্ছি না।
তিনি বলেন, এটিএন বাংলায় সংবাদটি দেখার আমি ও আরো কয়েকজন এমপি পরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের ঐ প্রতারককে আটক করেছি। আটকের পর সে স্বীকার করেছে, এ পর্যন্ত বিভিন্ন মন্ত্রী ও এমপির নামে পিএস ও ছেলে সন্তানের নামে ভ’য়া পাসপোর্ট তৈরী করে অনেক মানুষকে বিভিন্ন দেশে প্রেরণ করেছে।
এ সময় তার কাছ থেকে আরো ১০/১৫টি ভ’য়া পাসপোর্ট উদ্ধারর করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। এখন এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি মহল সম্মানহানী করতে অপপ্রচার শুরু করেছে। সূূূত্র – সুরমার ডাক

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

December 2017
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  

সর্বশেষ খবর

………………………..