সিলেট ৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩রা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৫২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৭
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : বাংলাদেশে চট্টগ্রামের একই বাড়ির চার মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনার মামলা নিতে সেখানকার থানা গড়িমসি করেছে বলে অভিযোগ ওঠার পর পুলিশ তাদের গাফিলতির কথা স্বীকার করেছে।
চট্টগ্রাম পুলিশের উপ-কমিশনার হারুন-উর রশিদ আজ সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, মামলা না নেবার ক্ষেত্রে তার ভাষায় ‘তাদের আংশিক ব্যর্থতা’ ছিল।
এ ঘটনা স্থানীয় লোকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে এবং তারা ধর্ষণকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে থানা ঘেরাও-এর কর্মসূচিও ঘোষণা করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, গত ১২ই ডিসেম্বর রাতে কর্ণফুলী থানার ওই বাড়িটিতে ডাকাতদল হামলা করে চার মহিলাকে ধর্ষণ করে।
পরদিন স্থানীয় একজন মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত থানায় মামলা নেওয়া হয়। এ পর্যন্ত তিনজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা হারুন-উর রশিদ হাজারি বিবিসিকে বলেছেন, তিনজন মহিলা তাদের শাশুড়িকে নিয়ে ওই বাড়িতে থাকেন। তারা কড়া ধর্মীয় অনুশাসন মনে চলেন। ফলে বাড়িতে পুরুষ মানুষের তেমন একটা যাওয়া আসা নেই।
তিনি বলেন, ধর্ষিতা ওই মহিলারা তাকে জানিয়েছেন যে তাদের স্বামীরা তিন ভাই। তারা দুবাই-এ থাকেন।
স্বামীদের সাথে আলাপ আলোচনা করে তাদের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত আসার পরই তারা থানায় মামলা করতে এসেছিলেন।
এছাড়াও মামলাটি কোন থানায় করা যাবে সেটা নিয়েও দ্বিধা দ্বন্ধ ছিলো বলে তিনি জানান।
ধর্ষণের মতো একটি ঘটনায় মামলা নিতে গড়িমসি করার ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, “অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো। তবে প্রথমে আমরা চেষ্টা করছি ধর্ষণ মামলার আসামীদের গ্রেফতার করতে। “
তিনি জানান, মোট চারজন আসামীর মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমগুলোতে স্থানীয় লোকজন এবং নারী অধিকার কর্মীরা অভিযোগ করছেন, তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। অযথা সেখানে সময় নষ্ট করা হচ্ছে।
পুলিশের গাফিলতির কারণে মামলাটি দুর্বল হয়ে পড়ার ঝুঁকি এখনই তৈরি হয়ে গেছে কীনা জানতে চাইলে পুলিশের কর্মকর্তা হারুন-উর রশিদ বলেন, তিনি ধর্ষিতা মহিলাদের সাথে কথা বলেছেন।
“তারা বলেছেন ঘটনা ঘটেছে রাতে। পরের দিন সকালে তারা গোছল করে ফেলেছে। এবং যেসব কাপড় চোপড় তারা পরেছিলেন সেগুলো যে সংরক্ষণ করে রাখার দরকার ছিলো সেটাও তারা জানতেন না। “
তারপরেও তিনি আশা করছেন পারিপার্শ্বিক অবস্থার মাধ্যমে এই অপরাধের বিচার করা সম্ভব।
– বিবিসি বাংলা
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd