ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : দেশের অন্যতম বৃহৎ পাথর কোয়ারী জাফলংয়ে ব্যবসায়ী ও শ্রমজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মুখোমুখি অবস্থানে। এ নিয়ে যেকোন সময় অনাকাঙ্কিত ঘটনা ঘটার আশংকা করা হচ্ছে। সিলেটের অন্যতম শ্রীপুর পাথর কোয়ারীতে সৃষ্ট ঘটনায় উভয় পক্ষে অর্ধ শতাধিক লোকজন আহত এবং একপক্ষে ১জন নিহতের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের পাথর কোয়ারীতে পিয়াইন পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ ও ডাউকি পিয়াইন শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর মধ্যে এ উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে পিয়াইন পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি জাকির হোসেন সরকারী ১নং খাস খতিয়ানের ভূমি যাহা পিয়াইন নদীতে ২০ফুট/২০ফুট জায়গার বিপরীতে পাথর উত্তোলনের জন্য জনপ্রতি ২০/৩০টাকা হারে চাঁদা উত্তোলন করে কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে সরকারী বিভিন্ন দফতরে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। গত ২৮ নভেম্বর জাফলংয়ের বল্লাঘাট এলাকার মৃত আনোয়ার আলীর পুত্র রফিকুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ আকারে সচিব, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, জেলা প্রশাসক সিলেট, পুলিশ সুপার, সিলেট, ইউএনও, গোয়াইনঘাট, এসিল্যান্ড গোয়াইনঘাট, ওসি গোয়াইনঘাট বরাবরে অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, জাকির হোসেনের খুটি জোর কোথায় দাবী করেন। অপর দিকে ডাউকি পিয়াইন শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি বাহার উদ্দিন জানান, সরকারী ১নং খাস খতিয়ান হতে প্রকৃত শ্রমিকেরা পাথর উত্তোলনের জন্য মহামান্য হাইকোর্ট থেকে নির্দেশনা পেয়েছেন। কিন্তু পিয়াইন পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি জাকির হোসেন তাদের স্বশ¯্র বাহিনী নিয়ে সরকারী জায়গা ভাগ বাটোরা করে দেয়ায় প্রকৃত শ্রমিকেরা আজ অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন। প্রশাসনের পক্ষ হতে জরুরী ভিত্তিতে উক্ত জটিলতা নিরসন না করা হলে যেকোন সময় শ্রীপুর পাথর কোয়ারীর মত অনাকাঙ্কিত ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে। জানতে চাইলে অভিযুক্ত পিয়াইন পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি জাকির হোসেন জানান আমরা নতুন পরাতন মিলে প্রায় ৭শত জন্য লোক নিয়ে সমিতি করেছি এবং জন প্রতি ২০হাজার টাকা করে নিয়েছি। জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার পাল জানান এবিষয়ে মৌখিক অভিযোগ পেয়ে সরজমিন গিয়েছি এবং তদন্ত চলছে, শান্তির্পুন পরিবেশ রক্ষায় আমরা সর্বাত্বক ব্যবস্থা নিচ্ছি।