নিজস্ব প্রতিনিধি : দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হক কিরন বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় তিনি ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১ ডিসেম্বর ঢাকাস্থ জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল (বিডিসি) কর্তৃক আয়োজিত গণতন্ত্র পুন:রুদ্ধারে গণমাধ্যমের ভুমিকা শীর্ষক অনুষ্ঠানে আসামী মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র নয়, শুধুমাত্র ভূখন্ড আর জনগণ থাকলেই স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হবে না।’ তিনি আরো বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ এখন ভারতের কলোনী, শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমকে হত্যা করেছে, কবর দিয়েছে প্রেসক্লাবে। শেখ মুজিবের ম্যুরাল থাকতে পারে না। বর্তমান সরকার অবৈধ সরকার, দিল্লির তাবেদার সরকার।’ ‘একটি রাষ্ট্রে ৪টি স্তম্ভ থাকে ১টি পার্লামেন্ট ২। জুডিসিয়ারী, ৩। এক্সিকিউটিভ ও ৪। গণমাধ্যম এই চারটি স্তম্ভের কবর রচনা করেছে বর্তমান ফ্যাসিষ্ট সরকার। বর্তমানে বাংলাদেশ নামের কোন রাষ্ট্রের অস্থিত্ব নেই। বাংলাদেশকে আর যাই বলা যাক রাষ্ট্র বলা যাবে না। জমি থাকতে পারে, জনগণ থাকতে পারে সার্বভৌমত্ব নেই বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।’
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয় আসামী মাহমুদুর রহমান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুুুুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নাতনী টিউলিপ সিদ্দিক বিরুদ্ধে অপমান জনক উক্তি করেছেন।
মামলার বাদী নাজমুল হক কিরন বলেন, আসামী মাহমুদুর রহমান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর নাতনী টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে অসত্য তথ্য উপস্থাপন করে তাদেরকে সামাজিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করেছেন। এছাড়া স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিনি অবস্থান নিয়ে অন্যায় অপরাধ করেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে থানায় মামলা দায়ের করেছেন তিনি।
আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শহীদুল্লাহ।
তবে তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করতে পুলিশ হেডকোয়ার্টের অনুমোদন লাগে। আমরা পুলিশ হেডকোয়ার্টারে অনুমোদনের জন্য বার্তা প্রেরণ করেছি। অনুমোদন পেলে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হবে।