সিলেট ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২১শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:৪৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
সিলেট :: সুনামগঞ্জের ছাতকে প্রতিষ্ঠিত বৃহত্তম সিমেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান লাফার্জ-হোলসিম বাংলাদেশ সিমেন্ট লিঃ এর হেড অব ইনফ্রাস্ট্রাকচার এন্ড টেকনিক্যাল সাভির্সেস ফাহিমা শাহাদাত বলেছেন, আমাদের দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। জীবনমান অনেক উন্নত হয়ছে। দেশের আবহাওয়া উপযোগী তৈরি কাঁচামালে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে লাফার্জ-হোলসিম দেশের অন্য সিমেন্ট কোম্পানিগুলোর কাছে ক্লিংকার বিক্রি করছে। এতে ওই সব কোম্পানির বছরে সাশ্রয় হচ্ছে ৫০-৬০ মিলিয়ন ইউএস ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। প্রতিবছর ১দশমিক ৫ মিলিয়ন মেঃ টন ক্লিংকার এবং সিমেন্ট উৎপন্ন হচ্ছে যা দেশের মোট সিমেন্ট চাহিদার ৯ শতাংশেরও বেশি। ভারতের মেঘালয় রাজ্যে এলাকায় প্রায় ২শ’ একর ভূমিতে লাফার্জের রয়েছে নিজস্ব চুনাপাথর খনি, ক্রাসিং প্ল্যান্টসহ পূর্ণাঙ্গ একটি মাইনিং প্রজেক্ট।
গত রোববার (১০ ডিসেম্বর) স›ধ্যা ৭টার দিকে সিলেট নগরীর দরগাহ গেইটস্থ একটি অভিজাত হোটেলের বলরুমে প্রকৌশলীদের নিয়ে আয়োজিত সেমিনার “ সুপার ক্রিট ফর সাস্টেইনবল আরবান লিভিং” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সেমিনার শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার জাফর সাদেক।
এছাড়া কান্্িট্র হেড অব কোয়ালিটি এন্ড অপ্টিমাইজেশন মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টের কোওয়ালিটি নিয়ে প্রেজেন্টেশেন পরিবেশন করেন। তিনি বলেন, সুপারক্রিট চুনাপাথরভিত্তিক সিমেন্ট। বিশ্বমান সম্পন্ন এই চুনাপাথর আসে ভারতের মেঘালয় থেকে। তা থেকে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ক্লিংকার তৈরি করা হয়। এতে গুণগত মান শত ভাগ বজায় থাকে। এসব চুনাপাথর ক্রাশ করে অন্যান্য উপকরণ মিশিয়ে রোলিং মিলের সাহায্যে গুঁড়া করা হয়। ১৪৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় তরল করে তৈরি করা হয় ক্লিংকার। চাহিদা মতো উৎপাদনের জন্য সংরক্ষিত ক্লিংকারের সঙ্গে অতিরিক্ত চনুপাথর জিপসাম মিশিয়ে তৈরি করা হয় সিমেন্ট। এ কারণে অন্যান্য সিমেন্ট থেকে সুপারক্রিট সিমেন্ট কিছুটা সাদাটে হয়। কারখানার ল্যাবরেটরি ছাড়াও অনলাইন সার্ভারের মাধ্যমে সরাসরি মালয়েশিয়া থেকেও ক্লিংকারের মান নিয়ন্ত্রণ তদারকি করা হয়।
সেমিনার সঞ্চালনা করেন ফরহানা হক মৌটুসী। উক্ত সেমিনারে সিলেট সরকার ও বেসরকারী ১৪০জন প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন। সার্বিক তত্ত¦াবধানে ছিলেন লাফার্জ-হোলসিম বাংলাদেশ সিমেন্ট লিঃ টেকনিকাল ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ রানা।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd