সিলেট ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৪ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:৪৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
ক্রাইম ডেস্ক : ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ তিনজন আটকের এক সপ্তাহ পার না হতেই কক্সবাজার শহরের ঝাউতলা ছালেহ নুর গেস্ট হাউস থেকে এবার আপত্তিকর অবস্থায় খদ্দেরসহ চার নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে সালেহ নুর ও সাগরিকা গেস্ট হাউস থেকে চার নারী ও তিন পুরুষকে আটক করেছে কক্সবাজার সদর থানার পুলিশ। অভিযান টের পেয়ে হোটেল মালিক ছালেহ নুর কৌশলে পালিয়ে যান।
পুলিশ সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও অনৈতিক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে ‘ছালেহ নুর গেস্ট হাউস’র বিরুদ্ধে। এর সূত্র ধরে বিভিন্ন সময় হোটেলটিতে অভিযান চালিয়ে মাদক ও পতিতা আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে মামলাও হয়েছে অনেক। এরপরও তারা সেই পথ থেকে ফিরে না এসে এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি পর্যটন মৌসুমকে সামনে রেখে ইয়াবা মজুদের গোপন খবরে গত ৫ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) র্যাব অভিযান চালিয়ে ছালেহ নুর গেস্ট হাউস থেকে ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে।
এ সময় ছালেহ নুরের ভাই ইয়াবা নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে পরিচিত শাহেদ কৌশলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পলাতক শাহেদসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা করেন র্যাব কক্সবাজার ক্যাম্পের ডিএডি আবুল কালাম।
এরপরও হোটেলে পতিতা রেখে অনৈতিক কাজ করা হচ্ছে এমন অভিযোগে সোমবার দুপুরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছালেহ নুর ও তার পাশে সাগরিকা গেস্ট হাউস থেকে চার নারী ও তিন খদ্দেরকে আটক করে। এ সময় পেছন দরজা দিয়ে পালিয়ে যায় হোটেল মালিক ছালেহ নুর।
এর আগেও গত ৩০ সেপ্টেম্বর ছালেহ নুর গেস্ট হাউস থেকে ৮ পতিতাসহ আটক হয়েছিল শাহেদ। ছালেহ নুর ও শাহেদ সদরের জালালাবাদ ইউনিয়নের খামার পাড়ার বাসিন্দা এবং ঈদগাঁও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পিয়ন ছৈয়দ নুরের ছেলে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রণজিৎ কুমার বড়ুয়া জানান, আটক পতিতা ও খদ্দেরদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd