সিলেট ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:২০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৬, ২০১৭
ক্রাইম ডেস্ক : সিলেট ও ঢাকায় দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে ড্যামেজ কিডনি নিয়ে রাফিয়া ইসলাম ফেঞ্চুগঞ্জে ফিরে এসেছেন। এদিকে দায়ী ডাক্তারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কমিটি গঠন করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ডাক্তার জানিয়েছেন বেঁচে থাকতে হলে নিয়মিত ডায়ালাইসিস অথবা কিডনি প্রতিস্থাপনের বিকল্প নেই।
রাফিয়া ইসলামের স্বামী উপজেলার নিজ ছত্তিশ গ্রামের নুরুল ইসলাম হারুন জানান, বর্তমানে সপ্তাহে দুইবার তার স্ত্রীকে সিলেট নিয়ে কিডনি ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে। কিডনি সংযোজন ব্যয়সাপেক্ষ, তাই এ নিয়ে তিনি উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় রয়েছেন।
এদিকে ফেঞ্চুগঞ্জ হাসপাতালের ডাক্তার বিধান সরকারের বিরুদ্ধে নুরুল ইসলাম হারুন গত ৩০ নভেম্বর ইউ এইচ এন্ড এফ পি ও বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা হেলথ এন্ড ফ্যামিলি প্ল্যানিং অফিসার ডাক্তার শফিকুল আলম লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশিচত করে জানান, এ ব্যাপারে একটি কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ডাক্তার বিধান সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করে তার অফিসে যাওয়ার আমন্ত্রন জানান।
উল্লেখ্য, রাফিয়া ইসলাম হাতের কনুইয়ে ব্যথা পেলে তা প্রশমনে ০৮ আগস্ট ফেঞ্চুগঞ্জ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে গিয়েছিলেন। কর্তব্যরত ডাক্তার বিধান সরকার ব্যথা কমাতে একই প্রেসক্রিপশনে দুইবারে বেশ কিছু ইঞ্জেকশন এবং ওষুধ লিখে দেন, যা সেবনের পর পরই রাফিয়া ইসলাম মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার অবস্থা আশংকাজনক হলে প্রথমে সিলেট এবং পরে ঢাকায় প্রেরন করা হয়।
ঢাকার কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হলেও রাফিয়ার কিডনি রক্ষা করা যায়নি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd