সিলেট ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৫৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০১৭
বিশেষ প্রতিনিধি : জৈন্তাপুরে পরিবেশ ধ্বংস করতে নেমেছেন পর্যটন উন্নয়ন ও পুরাকীর্তি সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি ফয়েজ আহমদ বাবর। তিনি তার নিয়ন্ত্রণাধীন জৈন্তাপুর উপজেলার আলু বাগানে অবস্থিত জৈন্তিয়া হিল রিসোর্টের সীমানার অভ্যান্তর হতে টিলা কেটে অবৈধ ভাবে মাটি ও পাথর উত্তোলন করে বিক্রি করছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়- জৈন্তিয়া হিল রিসোর্ট এলাকায় টিলা রকম ভুমিতে গর্ত করে প্রতিদিন কয়েকশ গাড়ী পাথর ও মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তর বা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া এই কাজ করা হলেও প্রশাসন নির্বিকার। জানা যায় জৈন্তাপুর, জাফলংয়ের অন্যতম পরিবেশ ধ্বংসকারী লিয়াকত আলীর সহযোগী জৈন্তাপুর তৈয়ব আলী ডিগ্রী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ফয়েজ আহমদ বাবর জৈন্তিয়া হিল রিসোর্ট টি লীজ নিয়ে পরিচালনা করছে। রিসোর্ট এলাকায় কয়েক বিঘা খাস ও ভিপি জায়গা রয়েছে।
টিলা রকম এই জমির মাটির নীচে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পরিমান খনিজ সম্পদ পাথর। এসকল পাথরের প্রতি দৃষ্টি পড়েছে সহযোগী অধ্যাপকের। তিনি শ্রমিক দিয়ে গর্ত করে প্রতিদিন এখান থেকে কয়েকশ গাড়ী পাথর ও মাটি বিক্রি করে আসছেন। অথচ এই সহযোগী অধ্যাপক ফয়েজ আহমদ বাবর কিছু দিন পুর্বে পর্যটন উন্নয়ন ও পুরাকীর্তি সংরক্ষণ কমিটি সভাপতি হিসেবে জাফলংয়ের পরিবেশ রক্ষার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করেন। এখন তিনি এই পর্যটন এলাকার পরিবেশ ধ্বংসে মেতে উঠেছেন।
এ ব্যাপারে সহযোগী অধ্যাপক ফয়েজ আহমদ বাবরের কাছে জানতে চাইলে- মাটি ও পাথর বিক্রি করার কথা স্বীকার করে বলেন রির্সোটের ভিতরে একটি সুইমিং পুল নির্মাণের জন্য তিনি গর্ত করছেন। টিলার মাটি কাটতে পরিবেশের অনুমতি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন এ ব্যাপারে পরিবেশের অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন আছে কি না তা তিনি জানেন না।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌরীন করিম বলেন- তিনি বিষয়টি জানেন না। এখন জেনেছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd