সিলেট ১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৫ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:০৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২, ২০১৭
শেষ ১২ বলে কুমিল্লার প্রয়োজন ৯ রান। অলরাউন্ডার সাইফুউদ্দিন মাশরাফির প্রথম বলেই একটি রান নিয়ে নেন। পরের বলে স্যামুয়েলস রান নিতে পারলেন না। এর পরের বলে সিঙ্গেলস নিয়ে সাইফুদ্দিনকে আবার স্ট্রাইক দেন স্যামুয়েলস। সাইফউদ্দিন এ বল মিস করেন। কিন্তু পরের বলেই ডিপ মিডউইকেট দিয়ে উড়িয়ে ছক্কা মারতে গেলে। একেবারে বাউন্ডারি লাইনের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডার নাজমুল অপুর হাতে ধরা পড়েন তিনি।
তখন সবাই ধরে নিয়েছিল লো স্কোরিং ম্যাচটিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে শেষ পর্যন্ত রংপুরই জিততে যাচ্ছে; কিন্তু মাশরাফির শেষ বলটিকে হাসান আলি যখন ছক্কায় পরিণত করলেন, তখন আবার হিসাব-নিকাশ পাল্টে যায়। নিশ্চিত হয়ে যায়, রংপুরের হাতে আর ম্যাচটি নেই।
এরপর ইসুরু উদানার দুটি বল স্যামুয়েলস খেলতে না পারলেও, তৃতীয় বলটি সারাসরি বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে দেন তিনি। ফলে ৩ বল হাতে থাকতেই ৪ উইকেটে ম্যাচটি জিতে নেয় কুমিল্লা। ৯৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কুমিল্লার সংগ্রহ ১৯.৩ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান।
এই জয়ের ফলে শীর্ষস্থনটি আরও পাকাপোক্ত হল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। ১০ ম্যাচ শেষে তাদের সংগ্রহ ১৬। আর রংপুরের জন্য শেষ চারে ওঠা অনেকটা কঠিন হয়ে গেল । ১০ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ১০। রংপুরের সামনে বাকি আর মাত্র দুটি ম্যাচ। এই দুই ম্যাচে শুধু জিতলেই হবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে রাজশাহীর দিকেও।
৯৮ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই সাজঘরে ফিরে যান লিটন কুমার দাস। দলীয় রান এ সময় ২২ হলেও লিটের ব্যক্তিগত রান ছিল মাত্র ৩। মাশরাফির করা বলটিতে ডিপ থার্ড ম্যান অঞ্চলে উদানার হাতে ধরা পড়েন লিটন।
এরপরই সাজঘরে ফিরে যান দেশ সেরা হার্ডহিটার ওপেনার তামিম ইকবাল। তার ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ২২টি রান। সোহাগ গাজীর বলে লং অনে নাহিদুল অসাধারণ একটি ক্যাচ ধরে তামিমকে ফেরান। দলীয় রান তখন ৩৫।
ইমরুল কায়েসও ১৪ রান করে ফিরে যান। জস বাটলার তো দাঁড়াতেই পারেননি। তার ব্যাট থেকে আসে ৫ রান। তবে রংপুরের হয়ে ২৪ বলে ২০ রান করেন শোয়েব মালিক। শোয়েবের এই রচম ধৈয্যশীল ইনিংসটিই বাঁচিয়ে দেয় কুমিল্লাকে। রংপুরের হয়ে মাশরাফি একাই নেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট নেন নাজমুল ইসলাম।
এর আগে মেহেদী হাসানের অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যে মাত্র ৯৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় রংপুর রাইডার্স। মেহেদী হাসান ৪টি ও সাইফউদ্দিন ৩টি উইকেট নেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd