সিলেট ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৩ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৪৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১, ২০১৭
শিক্ষা, যোগাযোগ, স্বাস্থ্যসহ প্রতিটি বিষয়ে দেশের অন্যান্য উপজেলার চেয়ে পিছিয়ে আছে প্রাকৃতিক সম্পদের গর্ভধারীনি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্ত ঘেষা সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলা। এখানকার অধিবাসীরা কৃষি ও পাথর কোয়ারী নির্ভর। এক সময় এ তিন উপজেলায় গোয়াল ভরা গরু, পুকুর ভরা মাছ এবং মাঠ ভরা ধানে ভরপুর ছিল। ফলে এ জনপদের অধিবাসীরা পড়ালেখার দিকে মনোনিবেশ না করে ক্ষেত খামার নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন।
যার কারণে আধুনিক ও তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে এ জনপদের অধিবাসীরা দেশের অন্যান্য উপজেলার চেয়ে রয়েছেন হাজার গুণ পিছিয়ে। গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে সিলেট-৪ আসন। বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ এ জনপদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন শিক্ষার উন্নয়নের জন্য।
এ জনপদে এমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই এম.পি ইমরানের উন্নয়নের ছুঁয়া লাগেনি। এ জনপদের শিক্ষা ব্যবস্থা বর্তমানে আশার আলো যোগাচ্ছে শুধুমাত্র এম.পি ইমরানের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায়। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার তেলিখাল ইউনিয়নে আম্বরখানা-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী ও দলইরগাঁও গ্রামের সামনে ইমরান আহমদ কারিগরী কলেজের ভিত্তি প্রস্থর করে ইমরান আহমদ এ জনপদসহ উত্তর সিলেটের অধিবাসীদেরকে দেখাচ্ছেন নতুন স্বপ্ন। সাধারন ও মাদ্রসা শিক্ষায় শিক্ষিত যুবরা আজ সরকারী চাকুরীর পিছনে দৌড়ঝাপ দিয়েও সোনার হরিণকে আয়ত্বে নিয়ে আসতে ব্যর্থ হচ্ছেন। আধুনিক এ যুগে সর্বাধিক চাহিদা রয়েছে কারিগরী শিক্ষায়। কারিগরী শিক্ষা গ্রহণ করে দেশে বেকারত্ব বরণ করছেন এমন লোক কোথাও খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এদিক বিবেচনা করে ইমরান আহমদ এম.পি ৪/৫ উপজেলার মধ্যবর্তী স্থানে ইমরান আহমদ কারিগরী কলেজের ভিত্তি প্রস্থর করেছেন চলতি বছরের ৩১শে মার্চ।
কলেজটির একাডেমীক ভবনসহ চতুর্সীমার কাজ চলছে তড়িত গতিতে। এম.পি ইমরান তার প্রাণের এ প্রতিষ্ঠানটির কাজ যাতে দ্রুত শেষ হয় সে লক্ষ্যে নিয়মিত পরিদর্শন করছেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ বলেন, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, সিলেট সদর ও সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থীরা এ কলেজে পড়ালেখা করতে পারবে। সাধারণ ও মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত হাজার হাজার বেকার যুবক-যুবতী চাকুরী নামক সোনার হরিণের পিছনে ছুটাছুটি করে আজ পরিবারে বোঝা হয়ে আছেন। তথ্য ও প্রযুক্তির এ যুগে কারিগরী শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। কারিগরী শিক্ষা গ্রহণ করে বেকারত্ব জীবন যাপন করছেন এমন কাউকে দেশের কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। উক্ত বিষয় বিবেচনা করে আমার সংসদীয় আসনের উন্নয়নের লক্ষ্যে ইমরান আহমদ করিগরী কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ। আমি আশাবাদী, এ কলেজ প্রতিষ্ঠা হলে এ জনপদ অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd