সিলেট [english_date] | [bangla_date] | [hijri_date]
প্রকাশিত: 6:00 PM, November 22, 2017
Sharing is caring!
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবি ছড়িয়ে দেয়ার জের ধরে জেমি আক্তার (১৪) নামে নবম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।
এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনার নায়ক আরাফাত হোসেন আরিফ (১৬) নামে এক শিক্ষার্থীকে আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ ও অপর আসামি আব্দুল্লাহ আল আরিফকে(১৫) গ্রেফতারের চেষ্টা করছে এবং জেমির লাশ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে নিজ বাড়িতে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে জেমি। জেমি হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিন গড্ডিমারী এলাকার জহুরুল ইসলামের মেয়ে।
আটক আরাফাত হোসেন আরিফ উপজেলার দক্ষিন গড্ডিমারী গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে ও পালাতক আব্দুল্লাহ আল আরিফ একই গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিনের ছেলে।
মেয়েটির বাবা জহুরুল ইসলাম বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে জেমি আক্তারকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় স্কুল ছাত্র আরাফাত হোসেন আরিফ।কিন্তু জেমি তার প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায়। আমার প্রতিবেশী জসিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল আরিফের সহায়তা নেয় আরাফাত হোসেন আরিফ। এনিয়ে দুই আরিফ মিলে স্কুল যাওয়া আসার পথে প্রায় সময় জেমিকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। জেমি আমাদেরকে উত্যক্তের বিষয়টি বললে আমরা আব্দুল্লাহ আল আরিফ ও আরাফাত হোসেন আরিফের বাবা-মাকে ঘটনাটি জানিয়ে দেই। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয়নি। বরং তাদের বাবা-মা নানা ভাবে আমারদেরকে হুমকি দেয়।
এই অবস্থায় জেমি মঙ্গলবার স্কুলে গিয়ে জানতে পারে যে, আরাফাত হোসেন আরিফ তার নিজের ফেসবুক আইডিতে জেমি আক্তারের ছবি ‘বিকৃত’ করে আপলোড করেছে। ফলে জেমি বিষন্ন মনে স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে এসে কান্নাকাটি শুরু করে। আমার বড় ছেলে রনিও ফেসবুকে ওই ছবি দেখেছে। একপর্যায়ে রাত ৮ টার দিকে নিজ বাড়িতে গলায় উড়না পেঁচিয়ে সেলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে জেমি।
তিনি আরো বলেন, কখনই ভাবিনি আমি আমার মেয়েকে এভাবে হারাবো। আমি এ ঘটনার ন্যায্য বিচার চাই। মেয়েটির মা নুরবানু বেগম বলেন, দেড় বছর থেকে ওই দুই ছেলে (আরাফাত এবং আরিফ) আমার মেয়েকে উত্যক্ত করে। এজন্য তাদের বাবা-মাকে বহুবার বলেছি। কিন্তু আমরা গরিব মানুষ বলে তারা উল্টো আমাদেরকে গালিগালাজ করেছে। আজ তাদের জন্য আমি আমার সন্তান হারালাম।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হাসান সরদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে রাতেই লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। মেয়েটির বাবা এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলায় আরাফাতা হোসেন আরিফকে গ্রেফতার করে বুধবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আর অপর আসামি আব্দুল্লাহ আল আরিফকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
………………………..
Design and developed by best-bd