কোম্পানীগঞ্জে মামলা করে চার মাস থেকে বাড়ি ছাড়া প্রবাসীর স্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:০৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২০, ২০১৭

প্রভাবশালীদের হুমকিতে প্রায় চার মাস ধরে বাড়িঘর ছেড়ে সন্তানদের নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কোম্পানীগঞ্জের পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নের তৈমুর নগরের প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী শিল্পী বেগম। স্বামীর শেষ সম্বল এক খন্ড ভিটেমাঠি ভূমি খেকোদের হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে মামলা করায় তাকে পড়তে হয়েছে এমন পরিস্থিতিতে। প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি-ধ্বমকিতে অসহায় হয়ে পড়া শিল্পী বেগম আত্মরক্ষার্থে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন পথে পথে। কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে বার বার একটু আশ্রয়-পশ্রয়ের জন্যে লিখিত অভিযোগ করেও কোন ফল না পাওয়ায় এখন আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। আদালত অসহায় শিল্পী বেগমের অভিযোগটি আমলে নিয়ে আসামীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছেন। ফলে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন শিল্পী বেগম।

অভিযোগে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জের পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নের তৈমুর নগর গ্রামের শিল্পী বেগমের স্বামী শাহ আলম প্রবাসে রয়েছেন। দুই সন্তান নিয়ে শিল্পী স্বামীর রেখে যাওয়া ভিটেমাঠিতে বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে অসহায় এই পরিবারের ভূমির প্রতি লোলপদৃষ্টি পড়ে ভূমিখেকো পার্শবর্তী ঘরের বিলাল হোসেন, আরাফাত হোসেন লিটন, মৌলানা মিয়া, হেলাল মিয়া, রশিদ, রোমা, জোৎস্না বেগম ও শান্তনা বেগমের। তারা ভূমিটি দখল করে নিতে ও শিল্পী বেগমকে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। এক পর্যায়ে শিল্পী বেগমকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেয় তারা। এতে শিল্পী বেগম প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দিলে পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করেন নি। অবশেষে শিল্পী বেগম আদালতে একে একে তিনটি দরখাস্ত মামলা দায়ের করেন। যার সিআর মামলা নং কোম্পানীগঞ্জ ২৫/১৭, ৩৭/১৭ ও ৮৯/১৭। আদালত দরখাস্ত মামলাগুলো তদন্তের জন্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে দায়িত্ব দিলে পুলিশ পক্ষপাতমূলক আচরন করে। এক পর্যায়ে আদালত মামলটি আমলে নিয়ে আসামীদের প্রতি সমন জারি করেন। এছাড়া আদালতের নির্দেশে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিল্পী বেগমের একটি অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছেন বলে আদালত বরাবরে প্রতিবেদন প্রদান করেছেন। কিন্তু আসামীরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে আরো ক্ষীপ্ত হয়ে প্রতিনিয়ত শিল্পী বেগমকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। ফলে আরো অসহায় হয়ে পড়েন শিল্পী। গত চারমাস ধরে শিল্পী বেগম দুই সন্তান নিয়ে সিলেট নগরীতে লুকিয়ে দিনাতিপাত করছেন। এনিয়ে কোতওয়ালী মডেল থানায় নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারণ ডায়রী করা হয়েছে। যার নং ২৩৭০/১৭। সন্তানরা করতে পারছে না পড়ালেখা। তাই অসহায় হয়ে পড়া শিল্পী বেগমের এখন কেবলই ভরসা আদালতের আদেশ-নিষেধ। তিনি সকল মহলের সহযোগীতা কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে জেলা বারের আইনজিবী স্বপন কুমার দাস জানান, আদালতে শিল্পী বেগমের মামলাগুলো বিচারাধীন রয়েছে। প্রতিপক্ষ তাকে প্রতিনিয়ত হুমকি-ধ্বমকি দিয়ে যাচ্ছে।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

November 2017
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..