সিলেট ২৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:৪৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
রাশেদ আহমদ : গোয়াইনঘাটের জাফলং নয়াবস্থি (খান্দুবস্থি) এলাকায় চলছে পাথর উত্তোলনের মহোৎসব । প্রতি রাতেই অবৈধ বোমামেশিন বসিয়ে পাথর খেঁকো একটি চক্র এই মহোৎসবে মেতে উটেছে । পাথর খেঁকোদের সাথে গভীর সখ্যতা গড়ে তোলেছেন গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।
জানা গেছে, খান্দুবস্থি এলাকার আলাউদ্দীন ও সুমনের নেতৃত্বে এই পাথর খেঁকো চক্ররা রাতে লাখ,লাখ টাকা কামাই করার উদ্দেশ্যে অবৈধ বোমা মেশিন বসিয়ে পরিবেশ বিনষ্ট করছেন । রাত দশটার পর থেকে ভোর সাতটা পর্য্যন্ত অবিরাম বোমা মেশিন চালিয়ে পাথর উত্তোলন করে তারা । বোমা মেশিনের মধ্যে রয়েছে বড় বোমা মেশিন , বিলাই (ছোট) বোমা মেশিন প্রায় অর্ধশত । এসব বোমা মেশিন চালানোর সূযোগ করে দিচ্ছেন, গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। তারা প্রতি রাতে পাথর খেঁকোদের নিকট থেকে বড় বোমমেশিন হতে পঞ্চাশ হাজার টাকা ও ছোট বোমা মেশিন হতে পচিঁশ হাজার টাকা চাঁদা হাতিয়ে নেন । এবং তারা তাদের অপকর্ম ঢাকতে প্রায় সময় দিনের বেলা জাফলং এলাকার বিভিন্ন পাথর উত্থোলনের স্থানে অভিযান চালিয়ে ভাল মানুষ সাজার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছেন ।
এদিকে সরেজমিন অনূসন্ধ্যানকালে জানা যায়, গডফাদার আলাউদ্দিন,জামাই সুমন ও আলম নামক ব্যাক্তি এসকল বোমা মেশিন বসিয়ে পরিবেশ বিনষ্ট করে রাতের আধারে পাথর উত্তোলন করে যাচ্ছে । ওই জায়গার মালিকসহ সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার আলাউদ্দিন,জাফলং নয়াবস্তি ও খান্দুবস্তি এলাকার জামাইসুমন এবং জৈন্তাপুরের গর্দ্দণা গ্রামের আলম পার্টনারশিপ ব্যাবসায়ী হয়ে একযোগে কাজ করছেন ।
এ চাঁদার একটি অংশ প্রশাসনের কতিপয় অসাধু উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট পৌছে দেন তারা । নিজেদের চাকুরি বহাল রাখতে ও ভাল মানুষের মূখোঁশ পড়ে দিনের বেলা অভিযান অব্যাহত রেখে রাতের আধারের পাথর খেঁকোদের সহীত গড়ে তোলেছেন সখ্যতা । পাশাপাশি স্থানীয় উপজেলার কতিপয় চাঁদাবাজ সংবাদকর্মীদেরও আন্ডারগ্রাউন্ডে সম্পর্ক গড়ে তুলে প্রকাশ্যে এসকল অবৈধ বোমা মেশিন বসিয়ে অনায়াসে চাঁদা উত্তোলনের কাজ সাড়ছেন । রহস্যজনক হলেও সত্য যে, উল্লেখিত পাথর খেঁকোদের বিরুদ্ধে ওসির নিকট যদি কোন অভিযোগকারী অভিযোগ দিতেন তাহলে থানা পুলিশ উল্টো ওই অভিযোগকারীকে মিথ্যা,ষড়যন্ত্রমূলক বিভিন্ন মামলা,মোকাদ্দমার হুমকি দিয়ে সড়িয়ে রাখতেন ।
এমনটি সত্যতা বেরিয়ে এসেছে অনূসন্ধ্যানি তদন্ত প্রতিবেদনে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাফলং এলাকার এক ব্যাবসায়ী জানান, তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিতে গেলে ওসি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন । এবং এরকম একজন লোককে বাড়ি থেকে গ্রেফতার দেখিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে চালান দিয়ে দেন । এরপর থেকে স্থানীয় এলাকার অনেকে মামলার ভয়ে পরিবেশ বিনষ্ট নিয়ে কোন কথা বলতে রাজি নয় । তবে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্মকর্তারা তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করলে এসকল আলামত সহজেই বের হয়ে আসবে । দুহাতে টাকা বানানোর হিসাব-নিকাশও সহজে পাওয়া যাবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd