ভুয়া হাসপাতালের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান

প্রকাশিত: ৮:৫১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৭, ২০১৭

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : কুমিল্লায় গত এক সপ্তাহে ১২টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে এগুলো বন্ধ করা হয়। এদিকে লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ স্বাস্থ্য খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া সাত দিনের নির্দেশনা বুধবার শেষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার থেকে সাঁড়াশি অভিযান নামছেন সিভিল সার্জন।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, গত এক সপ্তাহে চান্দিনা উপজেলায় ৭টি, লাকসামে ২টি, দাউদকান্দিতে ২টি এবং কুমিল্লা সদর উপজেলায় ১টি হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এছাড়া জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় শতাধিক অবৈধ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডেন্টাল ক্লিনিক, এনজিও ক্লিনিক, ব্লাড ব্যাংক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নেই।
গত ৮ নভেম্বর ওই সব প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে সাত দিনের মধ্যে হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সিভিল সার্জন অফিস।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে কুমিল্লার ১৪টি স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট সেক্টরকে এ গণবিজ্ঞপ্তির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) নির্দেশনার সময় শেষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার থেকে ওই সব লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুজিব রাহমান বলেন, ‘আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জেলায় লাইসেন্সবিহীন সব ধরনের চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানকে সাত দিনের মধ্যে কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে ওই সব লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া লাইসেন্স না থাকার অপরাধসহ নানা অনিয়মের দায়ে যেসব প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। সেগুলো এখনো বন্ধ রয়েছে।’
সিভিল সার্জন বলেন, ‘সিলগালা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যাদের লাইসেন্স নেই, তারা লাইসেন্স নিতে হবে। আর অনিয়মের দায়ে বন্ধ হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষ আবেদন করে সংশোধন ও সমাধান হওয়া পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখবে।’
ডা. মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। সব অবৈধ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
সিভিল সার্জন অফিস সূত্র আরও জানায়, নানা অনিয়মের দায়ে গত মঙ্গলবার চান্দিনা উপজেলার বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে দিনভর অভিযান চালিয়ে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করে সিলগালা করে দেওয়া হয়।
চান্দিনা সরকারি হাসপাতাল রোডে অবস্থিত মো. জসিম উদ্দিনের মালিকানাধীন পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মো. মেহেদী হাসান তালুকদার চেয়ারম্যানের মালিকানাধীন মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আবদুর রশিদের মালিকানাধীন মুক্তি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আবদুল মবিন মাঝির মালিকানাধীন মাতৃ ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সংলগ্ন চান্দিনা সেন্ট্রাল হাসপাতাল প্রাইভেট লি. এর ডায়াগনস্টিক বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর আগে ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিনা লাইসেন্সে কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে লাকসাম উপজেলা বিজরা বাজারে বেসরকারি হাসপাতাল এস এম সাফি ও বিজরা ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এছাড়া ৭ নভেম্বর কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার এ্যাপোলো প্লাস হসপিটাল ও চান্দিনা উপজেলার চান্দিনা মেডিনোভা হসপিটাল নামে দুইটি বেসরকারি হাসপাতালসহ মোট ১২টি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করে সিলগালা করা হয়।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

November 2017
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..