সিলেট ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:২৪ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১১, ২০১৭
নবীগঞ্জে কবব চিল্লার পর এবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুকুরে সকাল ১০টায় পানি চিল্লায় যান কথিত পীর জিন্দা শাহ।তার ভাষায় পানি চিল্লা মানে পানিতে ভেসে থাকার নাম নাকি পানি চিল্লা। হাত পা গামছা দিয়ে পানিতে বেধে তাকে তর পানিতে নিয়ে যাওয়ার পর সে বাবা মাহবুব রাজা বলে পানিতে ভেসে যান। তাকে দেখতে ওই স্থানে উৎসুক জনতা ভীড় জম্মান।
কথিত এই ভন্ড পীরের কর্মকান্ড নিয়ে এলাকার সর্বত্র আলোচনা ঝড় বইচে। জিতু মিয়া ওরপে জিন্দাপীরের সাথে কথা বললে তিনি জানান,আমার দয়াল মুর্শীদ,পীর,আধ্যতিক জগতের সাধক বাবা মাহবুব রাজা আমাকে স্বপ্ন যোগে বলেছেন আমি কবর চিল্লা,পানি চিল্লা,আগুন চিল্লা দেয়ার দয়ালের নামে ঔরস করতে বলেছেন। দয়ালের আর্দেশ পাইয়া আমি গত শনিবার রাতে আমার বাড়ি পৌর এলাকার পূর্ব তিমিরপুর প্রকাশ দরবেশ পুর এলাকায় সনিবার রাত ৩টায় কবর বাসে যাই এবং মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় কবর বাস থেকে উঠে আসি।
দয়ালের কথামতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ২ টা পর্যন্ত হাত পা বাধা অবস্থায় পানিতে ভেসে থাকতে মানে পানি চিল্লা দিতে। এরপর আমি কিছুদিনের মধ্যে অগ্নি চিল্লায় যাবো। কোথায় কখন যাবেন এমন পশ্নে জবাবে কথিত জিন্দা শাহ বলেন আমি ভক্ত, আশেকান,মুরিদানদের কাছে ৭০ মন লাকড়ী চেয়েছি লাকড়ী যোগার হলেই অগ্নি চিল্লা করার পর বাবা মাহবুব রাজার নামে আমি ঔরস করবো।
কথিত এই জিন্দাপীর জিতু মিয়ার এমন ঘটনা নতুন কিছু নয় পানি ভেসে যাওয়া ও কবরে বসবাস এসব কর্মকান্ড সে এর আগে অনেক জায়গায় করেছে। কিন্তু এবারেই প্রথম সে অগ্নি চিল্লা দিবে বলে জানায়। কথিত পীর জিন্দা শাহ বলেন তিনি ৪৫ বছর ধরে বিভিন্ন মাজারে গিয়ে অলী, আওলীয়ার,পীরের সান্ধিত্ব নিলে ও তার পীর মাহবুব রাজা। আর তার পীরের আর্দেশে তিনি এসব কর্মকান্ড করে যাচ্ছেন বলে জানান। কথিত ভন্ড জিন্দা বাবা ওরপে জিতু মিয়া সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার ইসলাম পুর তার বাড়ী। স্বাধীনতা সংগ্রামে সময় পৌর এলাকার তিমিরপুর গ্রামের মনর মিয়ার কন্যা জাহেদা বিবিকে করেন। বিবাহ জীবনে ৩ ছেলে ২ মেয়ের জনক। বিগত ২০ বছর আগে লন্ডনী এক ভক্তদের ৪ লক্ষ টাকা জায়গা কিনে বাড়ী করে ওই জায়গা পরিবারের লোকজন নিয়ে বসবাস কর আসছেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd