সিলেট ২১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:১০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৬, ২০১৭
সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে নিজেদের নিরাপত্তা ইস্যুতে ক্রমাগত ‘সিএনজি সংঘবদ্ধ ছিনতাইয়ের’ প্রতিবাদ করতে গিয়ে সিএনজি চালকদের হামলার শিকার হয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষের সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলের সহকারী প্রভোষ্ট আশিষ কুমার বণিক, দুজন শিক্ষার্থী ও এক কনস্টেবলসহ অন্তত দশজন আহত হয়েছেন। আহতদের তিনজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
শিক্ষার্র্থী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকা থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশাযোগে বন্দর- তেমুখী ও আম্বরখানা- তেমুখী রোডে গত বেশ কয়েক দিনে ৫০টিরও বেশি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সিএনজিতে উঠার পর অস্ত্রের মুখে ছিনতাইসহ চলন্ত সিএনজি থেকে ফেলে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বেশক’টি। এসব কাজে অটোরিকশাচালকরা জড়িত বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
তবে কোনো সুরাহা না হওয়ায় প্রতিবাদে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন। এতে রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন হাজার হাজার যাত্রী।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম স্বপন।
অবরোধকারীরা প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিলে সে মূহূর্তে একটি প্রাইভেটকার বেপরোয়া গতিতে অবরোধস্থলে আসে। শিক্ষার্থীরা প্রাইভেটকারটিকে ভাঙচুর করতে উদ্যত হলে সিএনজিশ্রমিকরা সংঘবদ্ধভাবে রড, লাটিসোটাসহ দেশীয় অস্ত্রসাজে সজ্জিত হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান।
পরে উভয় পক্ষের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপসহ বেশ কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে শাহপরান হলের সহকারী প্রভোস্ট প্রভাষক আশিষ কুমার বণিক, কনস্টেবল সোহেল রানা, শিক্ষার্থী আল আমিন ভ’ইয়া, তৌহিদ আলমসহ দুজন সিএনজি শ্রমিক আহত হন।
প্রক্টর জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, শেষমূহুর্তে এসে সিএনজি চালকরা এসে শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
তবে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতাকে দায়ি করেন টুকেরবাজার ইউনিয়নের সদস্য গিয়াস উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা ছিনতাইয়ের বিষয়ে প্রশাসন বরাবর অভিযোগ জানালেও তারা খূব একটা গুরুত্ব না দেয়ায় এ ঘটনা এতোদূর গড়িয়েছে।’
জালালাবাদ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম স্বপন বলেন, সিএনজি মালিক সমিতিকে আমরা কড়া বার্তা দিবো তাদের সিএনজি নিয়ন্ত্রণে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চল্লিশ রাউন্ড ফাকা গুলি ও বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে জালালাবাদ থানা পুলিশ বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলনে সিএনজি শ্রমিকদের উস্কানিমূলক হামলার ঘটনায় নিন্দা ও আন্দোলনের সাথে একাত্মতা জানিয়েছে শাখা ছাত্রলীগ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক সাংস্কৃতিক জোট শাবি শাখা। শাবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান বলেন, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির সাথে শাবি ছাত্রলীগ সবসময়ই পাশে আছে। আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd