সিলেটে স্পেন প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১০:১৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২২, ২০২১

সিলেটে স্পেন প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ

Manual5 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেট নগরীর ইলেকট্রিক সাপ্লাই রায় হোসেন দিগন্ত ৬৩ নং বাসার মখন মিয়ার স্পেন প্রবাসী ছেলে আব্দুর রহমানকে বিয়ে করানোর কিছুদিনের মধ্যেই সংসারে নেমে আসে অশান্তি।

Manual7 Ad Code

ছেলেকে নিজের চোখে দেখতে হয়েছে তার স্ত্রী সামিয়া আক্তার ইমা চাচাতো ভাই এবাদুর রহমানের সাথে সম্পর্কে লিপ্ত। বিষয়টির প্রতিকার চাওয়ায় মামলার আসামি হয়ে আব্দুর রহমানের আপন ছোটভাই আব্দুল্লাহ আরমানকে ৪ মাস ১৫ দিন কারাগারে কাটাতে হয়েছে। আব্দুর রহমানের শ্বশুর মোগলাবাজার থানার শ্রীরামপুরের আখতার হোসেন, স্ত্রী সামিয়া আক্তার ইমা, ইমার ভাই এমাদুর রহমান ও চাচাতো এবাদুর রহমানের আচরণে সুখের সংসারে নেমে এসেছে অশান্তি। অনৈতিক সম্পর্ক ঢাকতেই হয়রানীমূলক মামলা করা হয়েছে।

Manual6 Ad Code

রোববার (২২ আগস্ট) দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন স্পেন প্রবাসী আব্দুর রহমানের ছোটভাই মো. আব্দুল্লাহ আরমান। সংবাদ সম্মেলনে তার পিতা মখন মিয়া ও মাতা দিলারা বেগমসহ আত্মীয়-স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরমান দাবি করেন, ‘২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি আব্দুর রহমান ও ইমা’র সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পরে আব্দুর রহমান স্পেন যাওয়ার আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি শ্বশুরবাড়ি যান। ২৬ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে স্ত্রীর সাথে চাচাতো ভাই এবাদুরের অনৈতিক সম্পর্ক সরাসরি দেখেন। বিষয়টি লন্ডনে চাচা শ্বশুর নুরুল হককে জানান। ছুটি শেষ হওয়াতে ২৮ ফেব্রুয়ারি আব্দুর রহমান স্ত্রীকে ইলেকট্রিক সাপ্লাইয়ে রেখে স্পেনে ফিরে যান। শ্বশুর প্রায়সময় মেয়েকে নিতে চাইতেন। আমার মাতা দিলারা বেগম ইমা’র চারিত্রিক অধঃপতনের বিষয়ের কারণে ও ভাই আব্দুর রহমানের নিষেধ থাকায় ভাবিকে শ্রীরামপুরে দেননি। এতে ক্ষুব্দ হয়ে ভাইয়ের শ্বশুর বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করতেন।

আরমান বলেন, ‘আমার পিতা অসুস্থ। ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি লাঞ্চে পানিজনিত সমস্যায় ওসমানী মেডিকেলে ভর্তি হন। ২৭ ফেব্রæয়ারি হার্টে দুটি ব্লক নিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি আবারও ওসমানী মেডিকেলে ভর্তি হন। ২ মার্চ দিনের বেলা তিনি বাসাতে ফিরেন। তার আগের রাতে পৌণে ১টায় আখতার হোসেন মায়ের নাম্বারে কল দিয়ে ভাবিকে বাড়িতে নিতে চান। ছেলে এমাদুর রহমান ও ভাতিজা এবাদুর রহমান, তাদের বন্ধুবান্ধবসহ এসে জোরে নিয়ে যাবেন হুমকি দেন।

লিখিত বক্তব্যে আরমান আরও দাবি করেন, ৫ মার্চ বিকেলে মা অসুস্থ এমন অজুহাতে ভাবি ফোনে তার পিতাকে বলেন, ‘আজকেই যেনো তাকে বাড়িতে নিতে।’ সন্ধ্যায় পিতা ও তার চাচাতো ভাই এবাদুর রহমান এসে ভাবিকে নিয়ে যান। যা আশেপাশের বাসিন্দারা জানেন। তিনি সুস্থ অবস্থায় আমাদের বাড়ি থেকে গেছেন। কোন ঝগড়াঝাঁটি বা মারামারির ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু তারা মামলায় ফাঁসাতে বাড়িতে না গিয়ে ভাবিকে ওসমানী মেডিকেলে নিয়ে যান। পরেরদিন ৬ মার্চ বিষয়টি জানতে পারলে আমি দুপুর ১২টায় এয়ারপোর্ট থানায় জিডি করতে যাই। আড়াইঘন্টা পর থানায় ভাইয়ের শ্বশুর ও ভাতিজা এবাদুর রহমান উপস্থিত হয়ে ওসির সাথে কথা বলেন। ডিউটি অফিসার জানান, ‘ভাইয়ের শ্বশুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।’ কোনোরূপ তদন্ত ছাড়াই অদৃশ্য কারণে থানাতেই আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমার অসুস্থ পিতা, বৃদ্ধা মাতা, বোন ও স্পেনে থাকা ভাইকেও বিবাদি করা হয়।

Manual8 Ad Code

লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিনা অপরাধে দীর্ঘ ৪ মাস ১৫ দিন কারাবাস শেষে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাই। চার্জশিটে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনেন ১১(গ)/৩০ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি; আইনের ১১(খ)/৩০ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে।

Manual3 Ad Code

তিনি বলেন, আর্থিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে মিথ্যা-বানোয়াট তথ্যে মামলা করা হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে কিছু মানুষকে সাক্ষী করা হয়েছে। কয়েকজন নিরপেক্ষ প্রকৃত ঘটনা বলেছেন কিন্তু সেগুলো আমলে নেয়া হয়নি। চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই যথাযথ ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত এবং বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করা হলে তারা নির্দোষ প্রমাণিত হবেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..