আজমিরীগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩৯টি দোকান ভস্মীভূত, ৪০ কোটি টাকার ক্ষতি

প্রকাশিত: ১১:১২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০

আজমিরীগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩৯টি দোকান ভস্মীভূত, ৪০ কোটি টাকার ক্ষতি

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে ২ নং বদলপুর ইউনিয়নের পাহাড়পুর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩৯টি দোকান ভস্মীভূত হয়ে গেছে। এতে অনুমানিক প্রায় ৪০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।

জানা যায়, পাহাড়পুর বাজারে শুক্রবার বিকাল অনুমানিক সাড়ে ৪ টায় বিষ্ণুপদ দাসের মালিকাধীন একটি জালের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ওই সময় দোকানটি বন্ধ অবস্থায় ছিল। মুহূর্তেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে বাজারের লোকজন শোর-চিৎকার শুরু করলে ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও আশপাশের লোকজন দৌড়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। এরপর যে যার মত নদী, পুকুর ও নলকূপ থেকে পানি ঢেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।

দীর্ঘ ২ ঘন্টা যাবৎ চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারায় পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে ছোট পাওয়ার পাম্প মেশিন লাগিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালানো হয়। এতে কাজ না হলে এক পর্যায়ে বানিয়াচং ও নবীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয় এলাকাবাসী। কিন্তু সুষ্ঠু যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় বানিয়াচং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছুতে পারেনি। তবে নবীগঞ্জ থেকে একটি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে নদী থেকে ছোট মেশিনের মাধ্যমে পানি ঢেলে রাত অনুমানিক ৮ টার দিকে প্রায় সাড়ে ৪ ঘন্টার অক্লান্ত পরিশ্রমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

এরই মধ্যে ওই বাজারের প্রায় ৩৯ টিরও উপরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এর মধ্যে বিশ্ব দাসের মাতৃভান্ডার, হরিদাসের জনতা স্টোরসহ ৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বীরেন্দ্র দাসের কারেন্ট জালের দোকান, রাতুল তালুকদারের দোকান, পৃথিশ বৈষ্ণবের মুদী দোকান, রণ বৈষ্ণবের কাপড়ের দোকান, জয়হরি দাসের কাপড়ের দোকান, কবিন্দ্র দাসের কাপড় ও জালের দোকান, গোপাল দাস (মেম্বার) এর জালের দোকান, শিবু দাসের ঢেউটিনের দোকান, জগদীশ বৈষ্ণবের কাপড়ের দোকান, মনু দাসের চালের দোকান, সুবল দাসের কাপড়ের দোকান, সুকুমার দাসের কাপড়ের দোকান, বিধান দাসের কাপড়ের দোকান, বিন্দু চন্দ্র দাসের কাপড়ের দোকান, সত্যেন্দ্র দাসের মুদী দোকান, ব্রজেন্দ্র দাসের এলুমিনিয়ামের দোকানসহ অন্তত ৩৯টি দোকান পুড়ে ভস্মীভূত হয়।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) উত্তম কুমার দাস এবং ওসি (তদন্ত) আবু হানিফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জানান, ৩৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনুমানিক প্রায় ৪০ কোটি টাকা হবে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

September 2020
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
2627282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..