নগরীর কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় দিন দিন অসামাজিতা বেড়েই চলছে

প্রকাশিত: ১:১৩ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৬, ২০১৯

নগরীর কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় দিন দিন অসামাজিতা বেড়েই চলছে

Manual5 Ad Code

রুদ্র বিজয় :: ভাইজান কিতা খরইন? কুন্তা লাগবো নি? লাগলে খইবা ভালা ভালা কমবয়সী ফুড়িন আছইন। ভাইয়া, যাইবেন নাকি বোর্ডিংয়ে? রেট মাত্র ৫০০ টাকা”। কথাগুলো পাশ থেকে হঠাৎ কানে আসলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। নগরীর সুরমা মার্কেট পয়েন্ট এলাকায় কিছুক্ষন উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরাফেরা করলে অথবা ফুটপাথে দাঁড়িয়ে থাকলে এরকম প্রস্তাব পেতে পারেন আপনিও।আধ্যাত্মিক নগরী সিলেটে এইসব পতিতাবৃত্তির ব্যবসা এখন ওপেন সিক্রেট। গতকাল ব্যক্তিগত কাজ শেষে ফেরার পথে সুরমা মার্কেটের সামনের যাত্রী ছাউনিতে বসা অবস্থায় এ প্রতিবেদককে এমনই বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। একজন মধ্যবয়সী লোক এসে পাশে বসে, এর কিছুক্ষন পরই লোকটি প্রতিবেদককে জিজ্ঞেস করল কী করা হয়, স্টুডেন্ট নাকি সেটা জানতে চাইল। সংবাদকর্মী পরিচয় গোপন রেখে লোকটির সাথে কিছুক্ষন কথাবার্তা চলল এ প্রতিবেদকের।

Manual4 Ad Code

তাদের বর্ডিংয়ে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মেয়েদের আনা হয়। মেয়েদের মধ্যে ১৬-২৩ বছর বয়সী মেয়েদের সংখ্যাই বেশি। এদের বেশীরভাগই আবার বিভিন্ন কলেজ-ইউনিভার্সিটির ছাত্রী। তাদের কাষ্টমার মুলত ১৫ থেকে শুরু করে ৭০ বছরের বৃদ্ধও। তবে উঠতি বয়সি যুবক ও কলেজ ছাত্ররাই তাদের প্রধান খরিদ্দার। তারা টার্গেট ও করেন এই বয়সি যুবকদের।

Manual5 Ad Code

এছাড়া ফোনকলের মাধ্যমেও তারা কাষ্টমার পেয়ে থাকেন। আবার অনেক মেয়েই রাস্তাঘাটে ঘুরাফেরা করে বিভিন্ন ইশারা ইংগিতের মাধ্যমে পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলে তিনি জানান। সাড়া পেলে তাদের নিয়ে পূর্বনির্ধারিত হোটেলে আসেন।

টাকার ভাগ-বাটোয়ারা কিভাবে হয়? জানতে চাইলে তিনি জানান, মেয়েরা প্রতিটি কাজে ২৫% পায়, প্রশাসন ও স্থানীয় নেতারা পায় ৪০%, ১০% দেওয়া হয় এজেন্টকে এবং বাকি ২৫% হোটেল কর্তৃপক্ষের ভাগে থাকে।

প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব অপকর্ম চললেও প্রশাসন কেনো নীরব? এরকম প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, প্রশাসন আমাদের কী করবে, আমরাতো প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এসব ব্যবসা চালাচ্ছি। তাছাড়া একজন প্রভাবশালী চেয়ারম্যানও এখানকার একটি হোটেলের মালিক বলে তিনি জানান।

Manual2 Ad Code

কথা বলার এক পর্যায়ে সংবাদকর্মী হিসেবে পরিচয় দিতেই লোকটি প্রায় দৌড়ে ঐ স্থান ত্যাগ করেন।

সিলেটের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলগুলোতেও এইসব অবৈধ কার্যকলাপ চলছে দীর্ঘদিন থেকেই। ছড়িয়ে ছিটিয়ে সিলেটের বিভিন্ন এলাকাতে এসব অপকর্ম চলছে। প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিলে পর্যটন নগরীরতে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড বেড়ে যেথে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করছেন নগরীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

Manual2 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..