পাহাড়ি ঢলে গোয়াইনঘাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, বন্যার শঙ্কা

প্রকাশিত: ৮:৪০ অপরাহ্ণ, মে ২৮, ২০২৪

পাহাড়ি ঢলে গোয়াইনঘাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, বন্যার শঙ্কা

Manual7 Ad Code

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: টানা দুই দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে বন্যার পানিতে নিম্নাঞ্চল ও হাওরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

Manual4 Ad Code

বাড়তে শুরু করেছে উপজেলার বিভিন্ন নদ- নদীর পানি। পিয়াইন,সারী গোয়াইন নদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। ঢলের কারনে ইতিমধ্যে প্লাবিত হয়ে পড়েছে কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল। এসব এলাকায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায় নি।

Manual7 Ad Code

দমদমা গ্রামের লিল মিয়া জানান,গত কয়েক দিন ধরে তীব্র তাপদাহ ( গরমে) অতিষ্ঠ ছিল জনজীবন।আকস্মিক এই দুই দিনের মুষলধারে বৃষ্টি ও ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি বাড়ির চারপাশে বন্যার পানি।এভাবে পানি বাড়তে থাকলে কিছু সময়ের মধ্যে বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা পানিতে তলিয়ে যাবে।

জাফলং টুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রতন শেখ জানান, ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আস পাহাড়ি ঢলে পিয়াইন নদী টুই -টুম্ভুরে পরিনত হয়েছে। জাফলংয় পর্যটন কেন্দ্রর নিচু স্থানের দোকানঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। বৈরীআবহাওয়া ও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার ১৩নং বিছনাকান্দি ইউনিয়নের ঝারিখাল কান্দি, দমদমা, পাতনিকোনা,বগাইয়া হাওর,হাদারবিল গ্রামের নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানি বন্দি আছে।তাছাড়া বিভিন্ন স্থানে নিচু এলাকার কিছু রাস্তা, মাঠঘাট ও গু- চারণ ভূমি তলিয়ে গেছে। তবে উপজেলার বেশির ভাগ ইউনিয়নের হাওরাঞ্চল পানিতে নিমজ্জিত।

Manual4 Ad Code

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: তৌহিদুল ইসলাম জানান, ঘুর্ণিঝড় ‘রিমাল’ এর প্রভাবে গোয়াইনঘাট উপজেলার কোথাও কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায় নি। অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে নদ- নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে গোয়াইনঘাট উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।অদ্য ১২ টা পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী উপজেলার গোয়াইনঘাট নদীতে বিপদসীমার ১.৬ নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।বিপদসীমা ১০.৮২ মিটার,প্রবাহমান ৯.১৩ মিটার।সম্ভাব্য বন্যা মোকাবিলায় জরুরি ভিওিতে গোয়াইনঘাটে ৫০ মেঃ টন জি.আর খাদ্যশস্য (চাল)৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দের জন্য সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন দিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।

এ দিকে দুই এক স্থানে নিচু জায়গায় রাস্তা পানির নিচে গেছে। আগামী দুই দিনের বৃষ্টির অবস্থা পর্যবেক্ষনে বুঝা যাবে বন্যা পরিস্থিতি কেমন হবে।এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বন্যার পানি বাড়ছে এমন খবর পাওয়া গেছে এবং বৈরীআবহাওয়া অব্যাহত রয়েছে।

Manual8 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..