বিশ্বনাথ পৌরসভার কাউন্সিলর রফিকসহ ১৩জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ৮:২৪ অপরাহ্ণ, মে ২৩, ২০২৪

বিশ্বনাথ পৌরসভার কাউন্সিলর রফিকসহ ১৩জনের বিরুদ্ধে মামলা

Manual5 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার কাউন্সিলর মেয়র রফিক মিয়ানসহ ১৩জনের বিরুদ্ধে হেকিম শাহ মাজারের খাদিমকে হত্যার চেষ্টায় হামলা ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Manual2 Ad Code

মঙ্গলবার (২১মে) সিলেটের জুডিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩নং আদালতে এই মামলা দায়ের করেন উপজেলার ধীতপুর গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে সুরমান আলী(৩২)। অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্যে বিশ্বনাথ থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

Manual7 Ad Code

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট এএসএম আব্দুল গফুর।

Manual8 Ad Code

মামলায় আসামীরা হলেন- বিশ্বনাথ পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ রফিক মিয়া, উপজেলা যুবলীগ নেতা ও শাহজিরগাঁও গ্রামের মৃত রইছ আলীর ছেলে আব্দুল হক (৪৫), একই গ্রামের মৃত ইরশাদ আলীর ছেলে দুদু মিয়া (৫০),মৃত আপ্তাব আলীর ছেলে সালাম আহমদ (৪৫), একই গ্রামের শানুর আলী (৫৫), বাবুল আহমদ (৪০), ফয়জুল ইসলাম (৩৮), হাবিব আহমদ (৩৫), কয়েছ আহমদ (৩০), শেখ মিসবাহ উদ্দিন (৫০), নজরুল ইসলাম (৩০), শরিশপুর গ্রামের জয়দু মিয়ার ছেলে রফিক মিয়া (৩৮) ও ধীতপুর গ্রামের সানতু মিয়ার ছেলে বাচ্চু মিয়া (২৬)।

মামলায় বাদী সুরমান আলী উল্লেখ্য করেন- বিশ্বনাথ উপজেলার শাহজিরগাঁও গ্রামস্থ হেকিম শাহ মাজার খাদিমের দায়িত্ব পালন করে আসছেন সুরমান আলী (৩২) । তিনি মাজার দেখাশুনা ও দান খয়রাতের টাকা পয়সা দিয়া মাজারের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ করিয়েছেন। মাজারটিতে ভূক্তবৃন্দ যাওয়া আসার জন্য একটি রাস্তা ও পাকা গেইট রয়েছে। অভিযুক্ত আসামীরা বিভিন্ন সময় মাজারের টাকা তাদেরকে দিতে বলেন। টাকা না দিলে রাস্তা ও গেইট ভেঙ্গে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। হুমকির বিষয়টি পীর হেকিম শাহ’র নাতী হোসাইন মিয়াকে জানাই। পরে পৃথকভাবে দুটি মামলা দায়ের করেন হোসাইন মিয়ার নিযুক্তির আমমোক্তার বিশ্বনাথ পৌরসভার রাজনগর এলাকার ময়না মিয়ার ছেলে ও কাউন্সিলর ফজর আলী। মামলা দুটি- সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা নং-বিবিধি ১৭/২০২৪ইং ও বিশ্বনাথ সি.আর (দ্রুত বিচার) আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৫। বিষয়টি তদন্ত করে বিশ্বনাথ থানার এসআই রুমেন আহমদ আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রসিকিউশন রিপোর্ট দাখিল করেন। ফলে অভিযুক্তরা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে হত্যা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং গত ১৯মে সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় এবং অনুমান ২৭/২৮ হাজার টাকা মাজারের দান বক্স ভেঙ্গে নিয়ে যায়। এছাড়াও আমার প্যান্টের পকেট থাকা নগদ ৩২ হাজার টাকা ছিনিয়ে যায়।

Manual4 Ad Code

এব্যাপারে এডভোকেট এএসএম আব্দুল গফুর বলেন, জুডিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩নং আদালতের বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্যে বিশ্বনাথ থানা পুলিশকে দায়িত্ব প্রদান করেছেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..