ত্রাণ বিতরণের নামে মহিলাদের ছবি তোলে মিডিয়ায় প্রকাশ করা সমাজে ফ্যাশনে পরিনত

প্রকাশিত: ১২:৪১ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৯, ২০১৯

ত্রাণ বিতরণের নামে মহিলাদের ছবি তোলে মিডিয়ায় প্রকাশ করা সমাজে ফ্যাশনে পরিনত

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ গোয়াইনঘাট উপজেলা শাখার উদ্যোগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বৃহস্পতিবার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এই ত্রাণ বিতরণে অসহায় মহিলাদের ছবি না তোললেই পারতেন। কিন্তু এই ছবি ফেসবুকে পোষ্ট হওয়ার পর থেকে গোয়াইনঘাট জুড়ে তোলপাড় বিরাজ করছে। বর্তমান সময়ে দেখা গেছে বেশির ভাগই ত্রাণ বিতরণে মহিলা দিয়ে ছবি তোলা হয়। সচেতন মহলের প্রশ্ন? হুজুর দেখলে মহিলারা পড়দা করে থাকে। এখন ক্ষুধার্ত নারীরা কোন পথ না খোজে পেয়ে হুজুরদের সামনে এসে ছবি তোলে ত্রাণ নিতে বাধ্য হোন এই নারীরা।তবে কোন বাড়িতে গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করেননি। করছেন গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে।

 

সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের সাহেবের বাজার এলাকার ৭নং ওয়ার্ডের বন্যা কবলিত এলাকায় ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. আনছার আলীর উদ্যোগে সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বন্যার্ত অসহায় পরিবারের মহিলাদের মধ্যে ১৯ জুলাই শুক্রবার বিকেলে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। লজ্জা বলতে কিছুই নেই দুই মহিলাকে দাঁড় করিয়ে ছবি তোলছেন।

ত্রাণ বিতরণের নামে মহিলাদের ছবি তোলে মিডিয়ায় প্রকাশ সমাজে একটি ফ্যাশনে পরিনত হয়েগেছে। কতিপয় বিত্তবান ও কোন কোন সংগঠন পণ্যের বিজ্ঞাপনের মত অসহায় নারীদের ব্যবহার করে নিজেদেরে যশ ও খ্যাতির প্রসার ঘটাচ্ছে।

এতে করে ধ্বংস হয়ে পড়ছে সিলেটের সামাজিক অবকাঠামো ও কোল কৌলিণ্য। এ অবস্তা যেন এখন মহামারিতে রূপ নিয়েছে। সম্প্রতি বন্যা কবলিত সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ বিতরণকালে পরিলক্ষিত হচ্ছে এমন দৃশ্য। কোন কোন মহল যৎ সমান্য ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে দূর্গত এলাকায় যাচ্ছেন। সাথে নিয়ে যাচ্ছেন দামি ক্যমেরা ওয়ালা ফটো সাংবাদিক।

এলাকায় গিয়ে নিজেদেও লোকজন দিয়ে দু’ চারজন অসহায় নারী ডেকে এনে ফটো সেশন করেই ফিরে আসছেন। প্রকাশ করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ মিডিয়ায়। এতে করে ত্রাণ সামগ্রীর চেয়ে ফটো সেশন ও প্রচার কাজে ব্যয় হচ্ছে অনেক গুন বেশী। লোক দেখানো সমাজ সেবী সেজে দেশ বিদেশে থাকা বিভিন্ন ব্যাক্তি ও দাতা সংস্থা থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে কাড়ি কাড়ি টাকা।

আত্মসাৎ করছেন সরকারের লাখ লাখ টাকা। সিলেটের সমাজ এহেন লোক দেখানো সাহায্য ও নারী অবয়ব প্রচার থেকে মুক্তি চায়। সামাজিক ঐতিহ্র্য ও ধর্মীয় রীতি রক্ষায় কতৃপক্ষের এগিয়ে আসার দাবি জানায়।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..