নার্স নাসরিনের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলা ও অসদাচারণের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৫:৪৫ অপরাহ্ণ, জুন ২১, ২০১৯

নার্স নাসরিনের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলা ও অসদাচারণের অভিযোগ

হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের নার্স নাসরিনের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলা ও অসাদাচারণের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, তিনি ওয়ার্ডে না বসে বাইরে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইল ফোনে কথা বলেন বলে ভোক্তভোগী রোগীরা জানিয়েছেন। এ নিয়ে গত বুধবার রাত ৯টায় হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে নাসরিনের সাথে রোগীর স্বজনদের বাক-বিতন্ডার ঘটনাও ঘটেছে। সূত্র জানায়, গতকাল রাত সাড়ে ৮টায় অনন্তপুর এলাকার বিশিষ্ট ঠিকাদার আব্দুল গফুরের স্ত্রী শ্বাসজনিত কষ্টে আক্রান্ত হয়ে জরুরী বিভাগে যান। জরুরী বিভাগের ডাক্তার তাকে মহিলা ওয়ার্ডে গিয়ে গ্যাস দেয়ার জন্য পরামর্শ দেন। ডাক্তারের কথামতো তিনি সেখানে গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্স নাসরিনকে পাননি। ওয়ার্ডেও অফিস দেখেন কালি। শুধু মাত্র একজন আয়া রয়েছেন। অনেক খোজাখুজির ওয়ার্ডের বারান্দায় ওই নার্সকে মোবাইল ফোনে কথা বলতে দেখেন। এ সময় অসুস্থ্য মহিলা তাকে বার বার অনুরোধ করলেও নার্স কর্ণপাত না করে তাকে দমক দিয়ে ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে তার অবস্থা খারাপ দেখে ওই আয়া মহিলাকে গ্যাস দেন। পরে এ ঘটনায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে নার্স নাসরিন ওয়ার্ডে আসেন। তখন ওই রোগীর স্বজনার তার এমন আচরণের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন আমি তোমাদের চাকরি করি না। সরকারের চাকরি করি। কখন আসব কখন যাব তোমাদেও কি। আমার উিউটি রাত ৮টা থেকে সকাল পর্যন্ত। কিন্তু সরকারী টাইম রাত ৯টায় আসলেও চলে। রোগীর কোন অসুবিধা এটা আমার দেখার বিষয় না।

এ নিয়ে তাদের সাথে বাক-বিতন্ডার ঘটনা ঘটে। রোগী ও অন্যান্য কর্মচারীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। অনেক রোগীরা অভিযোগ করেন হবিগঞ্জ জেলার একমাত্র শেষ চিকিৎসার জায়গা হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল। কিন্তু নার্স ও ডাক্তাররা যদি এমন করেন তাহলে রোাগীরা যাবে কোথায়। এরকম নার্সের অবহেলায় অনেক রোগীরা মারা যায়। কিন্তু তা প্রকাশ হয় না। অভিযুক্ত নার্সের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সাংবাদিক শুনেই ফোন কেটে বন্ধ করে দেন।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের তত্বাবধায়ক রথীন্দ্র চন্দ্র দাস জানান, কোন কোন নার্সরা দেরিতে আসে ইতিপূর্বেও আমি অভিযোগ পেয়েছি। তবে নাসরিনের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। যেহেতু আমি শুনেছি তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেব।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..